নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে চলে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের। একইসঙ্গে নদীতে পানির গতিবেগ প্রবল থাকায় ভাঙনের শঙ্কায় ভুগছেন নদীর তীরবর্তী লোকজন।
এদিকে, আজ শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে কীর্তনখোলা নদীসহ ১৩টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিকালে জোয়ারের পর কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর সর্বোচ্চ ১৭ সেন্টিমিটার, হিজলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি ৩৬ সেন্টিমিটার, ভোলা মেঘনা নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনে মেঘনা নদীর পানি ১১৮ সেন্টিমিটার, ভোলা তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।’
‘এ ছাড়া বরিশালের বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ৩৪ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।’
কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ও সড়কে পানি প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
একইভাবে জেলার ১০ উপজেলায় নদীর তীরবর্তী স্থানে পানি উঠেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ভাটা লাগার সঙ্গে সঙ্গে পানি নামতে শুরু করবে।’
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৩৬