পুলিশ কমিশনার বলেন,ঢাকা হেডকোয়াটার থেকে বদলী করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-কি মধু আছে বরিশাল মেট্রোপলিটনে?বরিশাল মেট্রোপলিটন চার থানায় কর্মরত একাধিক পুলিশের পরিদর্শক (এস আই)পদ মর্যাদার কর্মকর্তা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে নিজেদের বলয় তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।বরিশাল মেট্রোপ্লিটনে ঘুরে ফিরে চার থানায় প্রায় এক যুগের বেশী সময়ের অধিক কর্মরত আছে।দীর্ঘদিন একই এলাকায় থাকায় তারা বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ জনিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় বরিশাল মেট্রোপলিটন চার থানা পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। এস আই পদে রাজনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের অসন্তোষ ও অস্বস্তি দীর্ঘদিনের। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও সহজে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।তারা বিএমপিতে কাটিয়ে দিচ্ছেন বছরের পর বছর।
এমনকি এই সমস্ত পুলিশ সদস্য ইতিমধ্যে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িত থেকে একটি পক্ষকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সরাসরি বিপক্ষে কাজ করার পরও একটি গোষ্ঠীকে সাহায্য সহযোগিতা করার মত গুরুতর অপরাধে জড়িয়েছেন। অভি্যোগ আছে বিগত সরকার আমলে জাতীয় ও স্থানীয় মেয়র নির্বাচনে সরাসরি আ’লীগের হয়ে মাঠে প্রকাশ্রে কাজ করেছেন।ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা সক্রিয় ছাত্রদের বিপক্ষে থেকে রাজপথে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পরে তারা রয়েছেন বহাল তবিয়াতে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন নবাগত পুলিশ কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমিও জেনেছি এরকম যারা দীর্ঘদিন ধরে আছে তাদের লিস্ট করেছি।ঢাকা হেডকোয়াটার থেকে পর্যায়ক্রমে যারা দীর্ঘদিন এক জায়গায় আছে তাদের বদলী করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
অভিযোগ আছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় দীর্ঘদিন কাজের সুবাধে তারা বরিশালে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। শশুর বাড়ি থাকার সুবাধে তিনি আত্মীয়দের নিয়ে একটি বলয় তৈরি করেছেন।আবার কেউ কেউ জমি ক্রয় করে ফ্লাট বাসা বাড়ি করে স্থায়ী বসবাস শুরু করেছেন। কেউ কেউ ঘুরে ফিরে একই স্টেশনে কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় অপরাধীদের অবাধ বিচরণসহ চুরি-ডাকাতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।দীর্ঘদিন একয় শহরে থাকার কারনে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সুস্বম্পর্ক হওয়াতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক পরিবহনে সহয়তা করছে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে।বরিশালে কর্মরত থাকায় দীর্ঘদিন কাজের সুবাধে তারা জমি ক্রয় করে স্থানীয় বনে গেছেন।
তাছারা বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় বেশ কয়েকজন এস আই,এ এস আই বরিশাল মেট্রোপলিটন এরিয়াতে দীর্ঘ পাঁচ থেকে পনের বছর ধরে বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করে ঘুরেফিরে এখন বরিশাল মেট্রোপলিটন মডেল থানায় কর্মরত আছে।
তেমনি বরিশাল মেট্রোপলিটন আওয়াতাধীন কাউনিয়া থানা এয়ারপর্ট থানা ও বন্দর থানায় দেখা যায় বেশ কয়েক জন এস আই,পাঁচ বছরের উপরে কর্মরত আছে।তারা স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে সাহায্য করেছে।তিন থানার কয়েকজন এস আই স্থানীয় অবৈধ মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মাসে মাসিক মাসোয়ার বিনিময়ে অবৈধ মাছ ব্যবসায়ীদের সাহায্য করে যাচ্ছেন।স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ হয়ে আরেকটি পক্ষকে দমন পীড়নের অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে।অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে বরিশালে থাকা পুলিশ সদস্যেরা বিগত সময়ে আ’লীগের সমর্থীত হওয়াতে বিএনপির দায়ের করা মামলায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের গ্রেফতার না করে আরামে থাকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৪৯