• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ,ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ১৮:৫৫ অপরাহ্ণ
বরিশালে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ,ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সাড়ে ৯ বছর আগে ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক কবির হোসেন রনিকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের আরও ৫ কর্মকর্তা এবং অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ছাত্রদল নেতার ছেলে আশিকুর রহমান আসিফ মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম পান্না।

মামলার আসামিরা হলেন- বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান ও আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন সেরনিয়াবাত, বরিশাল রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো. হুমায়ন কবির, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আকরাম হোসেন, বরিশাল জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. এহসানউল্যাহ, সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, আগৈলঝাড়া থানার সাবেক ওসি মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছাত্তার মোল্লা, সৈয়দ আশরাফ মিয়া, মামুন কবিরাজ, অনিমেষ মণ্ডল ও স্বপন মণ্ডল।

মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বলা হয়েছে, আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, মোর্তুজা খান, রইচ সেরনিয়াবাত ও আবুল সালেহ লিটন মোল্লাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র জেলাকে একটি নৈরাজ্য জনপদ এবং ভয়াল উপত্যকায় পরিণত করেন। রাজনৈতিকভাবে বাদীর বাবা কবির হোসেন রনি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিল। আসামি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বাদীর বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্ররোচনায় পুলিশ কর্মকর্তারা ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদল নেতা রনিকে ঢাকার নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ছাত্রদল নেতাকে অমানুষিক নির্যাতন করে।

২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটায় আগৈলঝাড়া উপজেলার বাইপাস ব্রিজের পশ্চিম পাশে রাস্তায় ছাত্রদল নেতা রনিকে গুলি করে হত্যা করে। পরে সব আসামি বিষয়টি একযোগে ক্রসফায়ার ও এনকাউন্টার নামে প্রচার করে। আসামিদের ভয়ে মামলা করতে সাহস পায়নি কেউ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নিজের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আদালতে মামলা করেন বাদী।

মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, প্রধান আসামি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৭৪ সালে বিএম কলেজের ছাত্র নজরুল, সদরুল ও সমরেশকে রাতের আধারে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে খুন করেছে।