• ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আটঘর-কুড়িয়ানা হাটে দ্বিগুণের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত জুলাই ৮, ২০২৫, ০০:০৯ পূর্বাহ্ণ
আটঘর-কুড়িয়ানা হাটে দ্বিগুণের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকার হাটে সরকারে নির্ধারিত শতকরা ৫ টাকা খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও দ্বিগুনের বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বদলি ইজারাদার,শহীদ মল্লিক, হুমাউন মোল্লা, ও সালাম বেপারীর বিরুদ্ধে। তবে তাদের দাবি অতিরিক্ত কোন খাজনা আদায় করা হচ্ছে না।

ভুক্তভোগী নৌকা ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে খাজনার তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও তা টাঙানো হয়নি। এদিকে নৌকা হাটের মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনা শতকরা ৫টাকা সেখানে ক্রেতারা আমাকে ১২টাকা খাজনা আদায়ের রশিদ দেখিয়েছেন। এর দায় ভার আমি নিবোনা।

এদিকে ক্রেতারা ইজারাদারদের চাপে পড়ে খাজনার জন্য অতিরিক্ত দ্বিগুন অর্থ দিতে হচ্ছে তাদের। আটঘর-কুড়িয়ানার নৌকার হাটে সরজমিনে গিয়ে দ্বিগুণ খাজনা আদায়ের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে।

সেখানে সরকারের নির্ধারিত টোলের কোনো তালিকা দেখতে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত খাজনার হার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। খাজনা আদায়কারীরা যে পরিমাণ টাকা চায়, তাদের সেই পরিমাণ টাকা দিতে হয়।

এছাড়াও মেইন রাস্তার উপর নৌকার হাট উঠিয়ে বেচাকেনা করায় সৃষ্টি হয় যানজট, ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
শরিফ হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘শুনেছি হাটে খাজনা দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নির্ধারিত হার রয়েছে।

কিন্তু আমরা সরকারি হার সম্পর্কে জানি না বা খাজনা আদায়ের টোলঘরে টাঙানো নাই। জানতে চাইলে, ইজারাদারের লোকেরা আমাদের সঙ্গে অনেক খারাপ ব্যবহার করেন। তাই বাধ্য হয়ে তারা যা বলে তাই দিয়ে আসতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারি হাটবাজারগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীরা ইজারা আদায় করে। ফলে তারা তাদের ইচ্ছে মতো জোর করে খাজনা আদায় করেন। সেক্ষেত্রে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীরা সরকারি হার দেখার কথা বললে মার খেতে হয়।

এ বিষয়ে বদলি ইজারাদার হুমাউন বলেন, নৌকার হাটে কোন অতিরিক্ত খাজনার টাকা আদায় করা হচ্ছে না এর পূর্বের ইজারাদার আব্দুর রহিম যে হারে খাজনা আদায় করেছে আমারও সেই হারে খাজনা নিচ্ছি বেশি নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যে।

আরেক ইজারাদার আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইজারাদার আব্দুর রহিম এর কাছ থেকে উপ ইজারা ২৫ লাক টাকায় ক্রয় করে নিয়েছি আগের ইজারাদার যেভাবে খাজনা আদায় করেছে আমরাও সেভাবে আদায় করতেছি। সরকারি ভাবে কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি।

এ বিষয়ে মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, আমাকে শহীদ,হুমাউন, সালামরা একদিনের জন্য খাজনা উঠাইতে দেয়নি।এক প্রকার জোর জবরদস্তির পরে তাদের খাজনা আদায় করতে দিয়েছি ৩৮ লাখ টাকায় কিন্তু তারা আমাকে ১৫ লাক টাকা দিয়েছে বাকি টাকা নিয়ে এখন টালবাহানা করছে। আমার ছাপানো রশিদে টাকা না তুলে তাদের ছাপানো রশিদে দ্বিগুণ খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে আমি শীগ্রই কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানাবো।

এ প্রসঙ্গে স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ইজারা নিয়ে একটু সমস্যা ছিলো সেটা উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত আদায়ের কোন সুযোগ নাই। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।