• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে বিপদসীমার ওপরে দুই নদীর পানি, আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত মে ২৯, ২০২৫, ২০:৫৪ অপরাহ্ণ
পিরোজপুরে বিপদসীমার ওপরে দুই নদীর পানি, আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুরের বলেশ্বর ও কচা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আশঙ্কায় রয়েছে নদী তীরের কয়েক লাখ মানুষ।

‎পিরোজপুরের সাতটি উপজেলার প্রায় সবগুলোই নদীবেষ্টিত। তাই নদী তীরবর্তী বাসিন্দার সংখ্যাও এখানে অনেক বেশি। এখানে অধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় হুমকির মুখে রয়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। ছোটখাটো ঘূর্ণিঝড় কিংবা নিম্নচাপে পানি উঠে যায় তাদের ঘরে।

‎পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুরের উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এবং বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

‎মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া গ্রামের বেল্লাল হোসেন বলেন, আমরা নদীর পাড়ের মানুষ। ঝড়-বন্যা এলেই ঘরে পানি ওঠে। সব ভাসাইয়া নিয়ে যায়। টেকসই বেড়িবাঁধ হলে আমরা বিপদমুক্ত হতে পারি।

‎ইন্দুরকানী উপজেলার মেহেদী হাসান বলেন, কচা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বাড়িঘরের আশপাশ তলিয়ে গেছে। এই পানি স্থায়ী হলে বড় ধরনের বিপদের শঙ্কা আছে।

‎পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু জাফর মো. রাশেদ খান বলেন, পিরোজপুরের উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এবং বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আশা করি, ভাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমতে শুরু করবে।

এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে।