• ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালী কারাগারে আসামিকে নির্যাতনের পর ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয়ার অভিযোগ

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত মে ২৯, ২০২৫, ২০:৫১ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালী কারাগারে আসামিকে নির্যাতনের পর ভিডিও স্বীকারোক্তি নেয়ার অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::: পটুয়াখালী জেলা কারাগারের হাবিলদার রাজ্জাক শিকদারের বিরুদ্ধে এক আসামিকে শারীরিক নির্যাতনের পর ভিডিও স্বীকারোক্তি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী যুবক হেলাল (৩২) অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ইউসুফ আলী প্যাদার আত্মীয় রাজ্জাক শিকদার কারাগারে থাকাকালীন তাকে নির্যাতন করেছেন। অভিযুক্ত রাজ্জাক পটুয়াখালী জেলা কারাগারে হাবিলদার হিসাবে কর্মরত আছেন।

ভুক্তভোগী হেলাল আরও বলেন, গত বছরের ২২ আগস্ট সদর থানায় দায়ের একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৩ মে রাতে পুলিশ তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ১৪ মে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই মামলার বাদীর আত্মীয় হাবিলদার রাজ্জাক শিকদার তাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে শুরু করেন। এরপর ১৫ মে সকাল ৯টার দিকে অন্যান্য আসামির সঙ্গে ক্যান্টিনে যান হেলাল। ক্যান্টিন থেকে আসামিদের সঙ্গে একটি ওয়ার্ডে যান তিনি। এ সময় হাবিলদার রাজ্জাক শিকদার হেলালের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করে ভবনের একটি কলামের সঙ্গে হাত আটকে অন্য আসামিকে লাঠি দিয়ে পেটানোর নির্দেশ দেন। হাবিলদারের নির্দেশে সজোরে তার শরীরে আঘাত করেন এক আসামি। এ ঘটনায় জেলা কারাগার হাসপাতাল এবং জামিনে বের হয়ে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বলে জানান হেলাল।

ভুক্তভোগী হেলাল আরও দাবি করে বলেন, গত ১৮ মে দুপুরে তাকে আদালত জামিন দেন। এরপর তার স্বজনরা ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জামিনের কাগজ নিয়ে কারাগারে পৌঁছান। জামিনের খবর শুনে হাবিলদার রাজ্জাক তার ঘনিষ্ঠদের দিয়ে বেলালকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কারাগার থেকে না ছাড়ার হুমকি দেয়। দুই ঘণ্টা টালবাহানার পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তার কাছ থেকে ভিডিও স্বীকারোক্তি নিয়ে ছাড়া হয় তাকে। ভিডিও স্বীকারোক্তিতে বলানো হয়, কারাগারে তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন ও হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় হেলাল সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে হাবিলদার রাজ্জাক শিকদারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান বলেন, তার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেনি। কারাগারে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।