• ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে থেকেও বরিশালের ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার!

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত মে ২৮, ২০২৫, ১৬:৫৩ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে থেকেও বরিশালের ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার!
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল ::: বরিশালের এক ব্যক্তিকে ডাকাতি মামলায় পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার দিন ও সময় ঢাকায় থেকেও বরিশালের ডাকাতি মামলায় সন্দেহ ভাজন হিসাবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের চরপত্তনিয়া এলাকার।

জানা গেছে, ওই এলাকার হোসেন আলী বেপারীর ছেলে মো: মিন্টু বেপারী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। সে ঢাকায় পরিবহন ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া তিনি জিয়া মঞ্চ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত রবিবার পারিবারিক কাজে বরিশাল আসলে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেফতার করে ওই ডাকাতি মামলায় চালান দেয়।

চাঁদপুরা ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির মোল্লা বলেন, গত (২১ মে) ঘটনার সময়ে মিন্টু বেপারি আমার সাথে ঢাকাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলো। তাকে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতি মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আটক করে পুলিশ।

মিন্টু বেপারীর ভাইর ছেলে জুম্মান বেপারী বলেন, তার চাচার সাথে এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকায় বিরোধী পক্ষ ডাকাতি মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ধরিয়ে দেয় এবং তাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিষয়টির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

মিন্টু বেপারীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, ঘটনার দিন তার স্বামী ঢাকায় ছিলেন। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে, তারা পরিকল্পিতভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামীকে ফাঁসিয়েছেন। সে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ মে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের চরপত্তনিয়া গ্রামের মো : মহিউদ্দিন লিটন মোল্লার বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মহিউদ্দিন লিটন মোল্লা বাদী হয়ে ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন ডাকাতের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হবে। কিন্তু গ্রেফতারকৃত মিন্টু বেপারীর বয়স ৪০ বছরের উপরে হবে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেয়া যাবে না।