বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনার আমতলীতে অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। শনিবার অপহৃতার মা অভিযোগ করে বলেন, ১২ দিনেও পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তা-ও আমরা জানি না। দ্রুত মেয়েকে উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
গত ১২ মে আমতলী উপজেলার পাতাকাটা গ্রামে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করা হয়।
জানা গেছে, মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ঘটখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছা মাত্রই ওঁৎ পেতে থাকা সুকদেব হাওলাদার (২৩) ও তার সহযোগী কার্তিক চন্দ্র হাওলাদার, রতন শিকারীসহ ৪-৫ জন ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে অপহৃত ছাত্রীর মা গত রোববার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সুকদেবকে প্রধান আসামি করে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা করেছেন।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ওসিকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপহৃতাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী) সার্কেল তারিকুল ইসলাম মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলার বাদী কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, আমার নাবালিকা কন্যাকে প্রতিবেশি রতনের সহযোগীতায় সুকদেব হাওলাদার ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা আমি জানি না। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আমতলী থানার ওসি আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আদালতের নির্দেশ মতে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সহকারী পুলিশ (আমতলী-তালতলী) সার্কেল তারিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৮৪