• ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেডিসিতে পাওনা টাকা চাওয়ায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শামিম ও রিপনের হামলায় বৃদ্ধ আহত, থানায় অভিযোগ,

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫, ২২:২০ অপরাহ্ণ
কেডিসিতে পাওনা টাকা চাওয়ায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শামিম ও রিপনের হামলায় বৃদ্ধ আহত, থানায় অভিযোগ,
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদ, বরিশাল :: বরিশাল নগরের কেডিসি বালুর মাঠ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শামীম ফরাজি ওরফে (সম্ভু’) ও রিপন ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ নারী ছেলেকে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কেডিসি বালুর মাঠ এলাকায় পাওনা টাকা নিয়ে মলি বেগম ও রিপন মিনারা বেগমের বাসার পাশে দাড়িয়ে ঝগড়াঝাটি করেন।

এসময় ইকবাল নামে এক যুবক দু’পক্ষকে ঝগড়াঝাটি করতে নিষেধ করেন এবং মলি বেগমকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিপন ও শামীম ফরাজি ইকবালকে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে মারধর করেন, ইকবালের ডাক চিৎকার শুনে তার স্ত্রী আসলে তাকেও মারধর করেন।

পরবর্তীতে মারধরের বিষয়টি ইকবালের মা মিনারা বেগম রিপনকে জিজ্ঞেস করলে তাকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শামীম ফরাজি ও রিপন মারধর করেন।

এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মিনারা বেগম বলেন, তার দুই সন্তান সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য হিসাবে কর্মরত রয়েছে। তারা এই এলাকায় বসবাস করায় প্রথমে মারধরের ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। কিন্তু এই এলাকার বাসিন্দা আবু ফরাজীর ছেলে কেডিসি’র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একাধিক মাদক মামলার আসামী ও আ’লীগ নেতা শামীম ফরাজি ওরফে (সম্ভু) ও রিপন বিভিন্ন সময় মিনারা বেগমকে রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসেন।মাদক ব্যবসায়ী শামীম ফরাজি নিজের মাদক বানিজ্য রমরমা রাখতে নিজেকে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বলে পরিচয় দিয়ে আসছেন। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এধরণের মাদকদ্রব্য ব্যবসাীদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারের আওতায় আনা হোক।

এবিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মিজানুর রহমান বলেন, কেডিসি বালুর মাঠ এলাকার মারধরের ঘটনায় মিনারা বেগম নামে এক মহিলা একটা এজাহার দায়ের করেন যা নং(৬৮৬) তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।