• ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দায় প্রকাশ্যেই চলছে সুমন ,আলতাফ ও মনিরের মাদক ব্যবসা

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত মে ১৩, ২০২৫, ১৯:১২ অপরাহ্ণ
নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দায় প্রকাশ্যেই চলছে সুমন ,আলতাফ ও মনিরের মাদক ব্যবসা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল: বরিশাল আলেকান্দা এলাকার চিন্হিত টপ মাদক ব্যবসায়ী সুমন খাঁ পিতা সুলতান খাঁ ও মনির উরফে মেডিকেল মনির ফের মাদক ব্যাবসায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অনেকটা প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে তার মাদক ব্যবসা।

মনির তার সিন্ডিকেট পরিচালনা করার জন্য সুমন খাঁ কে পাটনার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে মাদক ব্যবসা চালিয়চে আসছেন। মনির উরফে মেডিকেল মনির আলতাফ স্কুলের সামনে চারতলা একটি বাসাতে বসে এই ইয়াবা ও ফেন্সিডিল পাইকারী সেল করে থাকেন এবং তিনি খুব চতুরতার সাথে এই ব্যাবসা তার বিল্ডিংয়ে লাগানো সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করে আসছে।

মনির ওরফে মেডিকেল মনির বেশ কটা মাদক মামলায় কিছুদিন জেলখেট জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে, তার বাসাতে টেকনাফ ও যশোর থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বহন করে নিয়ে আসে তার ফ্লাটে সেখানে বসেই রাতারাতি ডিস্ট্রিবিউশন করে দেয় মনির ওরফে মেডিকেল (মনির) আর সেই কাজে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে আসছে গাজী বাড়ীর সুমন খাঁ পিতা সুলাতান খাঁ, বেশ কয়েকবার বরিশাল গোয়েন্দা সংস্থার লোক অভিযান চালিয়ে ও মনির ও সুমন কে আটক করতে ব্যর্থ হন।

ডিবির অফিসার বলেন। এই মাদক চক্রের কয়েকজনকে নজরদারিতেও রাখা হয়েছে ও তাদের গতিবিধি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আপতত এর বেশি তথ্য গনমাধ্যককে দিতে চাচ্ছে না আইন প্রোয়োগকারী সংস্থা।

বরিশাল এখন ক্রমেই মাদক, বিশেষ করে ইয়াবার নীরব আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে। দিনে দিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এই মাদক ব্যবসা। বরিশালে দক্ষিণ কালেকান্দা বসে মনির ও সুমন বেশকিছু হোটেলে এসব মাদক ব্যবসা, মাদক লেনদেন এর অভয়াশ্রম।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) বলেন এ বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরিশাল শহরের সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, বর্তমান প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয়ের একটি বড় কারণ হলো সহজে ইয়াবা প্রাপ্তি এবং এর বিরুদ্ধে দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। একজন অভিভাবক বলেন, “আমি আমার ছেলেকে এখন বাইরে একা পাঠাতেই ভয় পাই। পাড়ার ছেলেরা যেভাবে ইয়াবায় আসক্ত হয়েছে, তাতে ভয় লাগে সবাইকে ।

বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক মনোরোগ চিকিৎসক বলেন, “আমাদের কাছে প্রতিদিন অন্তত ৪-৫ জন ইয়াবাসেবী রোগী আসে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ। অনেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে, পড়াশোনা বা কর্মজীবন নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরোও বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানো: গোয়েন্দা নজরদারি আরও উন্নত করা দরকার, সেই সঙ্গে শাস্তি নিশ্চিত করত লড়তে আমাদের কাউন্টার-অর্গানাইজেশন গড়ে তুলতে হবে। নাগরিকদের নীরব পর্যবেক্ষক হওয়া বন্ধ করতে হবে।বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অ্যান্টি-ড্রাগ সেল গঠন, সাইবার ক্রাইম স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। একটি অদৃশ্য যুদ্ধ মাদকের এই নতুন যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নয়, সমগ্র সমাজের। প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং সামাজিক সচেতনতার সমন্বয়ে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।