পটুয়াখালী শহরের চরপাড়ার স্বনির্ভর সড়কের পাশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে অন্তত ২৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ বলে জানা গেছে।
আজ, মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত হয়, এবং মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই উদ্ধার অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীও অংশ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগুনের সঠিক উৎস এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার কাজ চলছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোঃ আরেফীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান ও পুনর্বাসনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কিছুই বাঁচাতে পারেননি তারা। ক্ষতিগ্রস্ত মোতাহার হোসেন বলেন, “দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগতে দেখার পর এলাকা জুড়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়, আর কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।” অন্য ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামল কর্মকারও জানান, “আগুনের কারণে তার ভাইয়ের দোকানও পুড়ে গেছে, সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।” কিছু নারী এই বিভীষিকার শিকার হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মোহসিন জানান, তাদের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে এক ফায়ারম্যান আহত হয়েছেন।
এদিকে, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোঃ আরেফীন বলেন, “এই ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ২০-২২টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত কিছু নগদ অর্থ, খাদ্য সহায়তা ও শীতবস্ত্র পেয়েছে, এবং সরকারী সহায়তা নিয়ে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।” তিনি জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা পরে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১০৪