নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশাল নগরীর রূপাতলী আজিজিয়া হাউজিংয়ে প্রকৃত মালিক পক্ষকে হয়রানি ও মানহানি করে ভোগকৃত জমি দখলের পায়তারা করছে প্রতিপক্ষ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নাগরীর রূপাতলী ২৫নং ওয়ার্ডে আজিজিয়া রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে ২২ শতাংশ জমির কাগজ জাল করে দখলের চেষ্টা চালায় এমরানুর হক গ্যাং পরবর্তীতে মুনসুর ও রুস্তুম সিকদার এর ওয়ারিশরা কোন উপায়অন্ত না পেয়ে ব্যবসায়ী দেলোয়ার মীর গং কে আমমোক্তার সম্পাদন করেন।
আমমোক্তার দ্বারা ২০২২ সালে বিল্লাল হোসেন কে সাব কবলা দলিল সম্পাদনা করেন। উক্ত দলিল দ্বারা বাংলাদেশ সরকারের ভূমি অফিসে ৪৭৭২ (১/-১)/২০২২-২৩ নামজারি মোকদ্দমার দ্বারা ১৮৮২২ অনলাইন খতিয়ানে নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন করেন। এবং হাল ১৪৩১ সালের অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। ক্রমিক নং-০৬৫১২৫১০৪৭০৯। বিগত ১০/০৪/২০২৫ তারিখে ইমরান মৃত্যু বরন করেন। বিগত বছর গুলো দেলোয়ার মীর গং এর বাউন্ডারি করা জমিতে প্রবেশ করতে দেয়নি এমরানুল হক। বর্তমানে তার স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা বেগম জং মৃতঃ এমরানুল হক গংরা।
তিনি স্বামীর মৃত্যুতে বর্তমান বিভিন্ন মহলের কাছে সহানুভূতি সুলভআচরন করে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে। বিগত বছর গুলো তার মৃত স্বামী কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সেখানে সহানুভূতি দিয়ে জমি হাসিলের পায়তারা। গত ৩০/০৪/২০২৫ তারিখ কোতোয়ালি মডেল থানায় ও একই অবস্থা কাগজ ছাড়া অভিযোগ করেন। বিগত ২০১৩ সালের ২ মার্চ রেজিস্ট্রিকৃত ৪০০৮নং ব্যাপক আমমোক্তারনামা দলিল মূলে মোঃ এমরানুল হক এস. এ. ২১৩০নং খতিয়ান হইতে, ১১ একর ভূমির মালিকানা প্রাপ্ত হন। আমমোক্তার দাতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর গং দলিল নং-৫১১৭ তফসিল সম্পত্তিতে উল্লেখিত বাবু পতিত পবন মুর্খাজী গং দ্বারা খোদ খরিদ করেন। ইহাই হইলো মিথ্যা ও জাল দলিলের প্রমান ২১৩০ নং খতিয়ানে বাবু পতিত পবন মুর্খাজী নামে কেউ নাই। পরবর্তীতে মোঃ এমরানুল হক দাতা হয়ে বিগত ১৩. সালের ১৮জুন রেজিস্ট্রিকৃত ৮০৬৮নং সাফ কবালা দলিল মূলে এস. এ. ১৪৮৮, ১৪৮৯ দাগ তথা বি.এস. ডি.পি. ৩৬২৩নং খতিয়ানের ১৫৯২৫নং দাগ হইতে ৬.৭২ শতাংশ জমি ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহীন গংদের কাছে বিক্রি করে সরেজমিন দখল বুঝিয়ে দেন।
এদিকে ওই সম্পত্তিতে বিরোধ দেখে ডাঃ মনিরুজ্জামান মোঃ এমরানুল হককে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে বলেন এবং অন্য দাগে চলে যান। মোঃ এমরানুল হক সম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বাদী হয়ে বরিশাল বিজ্ঞ সদর সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা যাহার নং-৩৮৮/২০২২ দায়ের করেন। আদালত উভয় পক্ষের বিজ্ঞ কৌশুলীর সম্মতিক্রমে নিষেধাজ্ঞা দরখাস্তের তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে ন্যায় ও সুষ্ঠ বিচারের স্বার্থে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব দখল ও ব্যবহার অনুযায়ী স্থিতিতাবস্থা (ংঃধঃঁং য়ঁড়) বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের ঐ নিষেধাজ্ঞার পেক্ষিতে মোকাম বরিশালের বিজ্ঞ জেলা বাহাদুর আদালতে মিস আপীল মোকদ্দমা ৪০/২০২৫ ইং ২০/০৫/২০২৫ আপীল্যান্ট মোকদ্দমা দেলোয়ার মীর গং দায়ের করেন এবং ২২/০৫/২০২৫ তারিখে মিসেস ভুমিদস্যু গ্যাং এর করা ১৭/০৫/২০২৫ তারিখের লোকাল ইনভেস্টিগেশন এর বিরুদ্ধে আপত্তি এবং দখীলি দরখাস্তের বিরুদ্ধে আপত্তি, ৪০/২০২৫ মোৎ আপীল মোকদ্দমার বিচার সাপেক্ষ ৩৮৮/২০২২ মোকদ্দমার কার্যক্রম স্থগিতের প্রার্থনা, ৪০/২০২৫ মোৎ আপীল মোকদ্দমার বিচার সাপেক্ষ ০৪/০৫/২০২৫ তারিখের স্থিতাবস্থা আদেশের কার্যকারিতা স্থগিতের প্রার্থনা প্রদান করেন। কিন্তু নির্মম পরিতাপের বিষয় জাল কাগজ দিয়েও মামলার বাদী মোঃ এমরানুল হক এর বিচার এখোনো হয়নি। এমরানুল হক ছিলেন প্রতারক টাইপের একাধিক প্রতারনার মামলা বরিশালের বিভিন্ন আদালতে চলমান রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে আজিজিয়া হাউজিংয়ে একই জমি ৩ মাসে অন্তর ২ জনকে বিক্রি করেন। এসব বিষয়ে তার স্ত্রী আগে থেকেই অবগত তার এ-ই প্রতারনা সুলভ আচরন বরিশালের বেশিরভাগ মানুষই জানেন। এ বিষয়ে সুরাহা চেয়ে স্বামীহারা টাইটেলধারী মাওঃ মোঃ এমরানুল হক এর স্ত্রী খাদিজা বেগম এতিম সন্তানদের নিয়ে বারবার টালবহানা করেন। একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনের কোতয়ালী মডেল থানায় বসাবসি হলেও কোন প্রতিকার পায়নি। মোঃ এমরানুল হকের স্ত্রী এ প্রতিবেদককে জানান আমরা ঢাকাতে পরিবারসহ বসবাস করায় বরিশালে আমার স্বামীর শত্রু মিত্র সম্পর্কে এত ধারণা ছিল না, এটা একটা মিথ্যা কথা। প্রকৃতপক্ষে স্বামী মতই ভয়ানক প্রতারনা করা জানেন এ-ই মহিলা। এমতাবস্থায় উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ী দেলোয়ার মীর গংরা যাতে এ-ই এমরান গ্যাং তথা প্রতারক পরিবার থেকে তারা রেহাই পায়।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৬১