• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন পরিষদে টাকায় বিক্রি হয় জাল ওয়ারিশ সনদ:দুদকে অভিযোগ

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত অক্টোবর ২, ২০২৪, ২০:১২ অপরাহ্ণ
ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন পরিষদে টাকায় বিক্রি হয় জাল ওয়ারিশ সনদ:দুদকে অভিযোগ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঝালকাঠিতে ইউনিয়ন পরিষদে টাকায় বিক্রি হয় জাল ওয়ারিশ সনদ:দুদকে অভিযোগ

আলোকিত সংবাদ ডেস্ক :: ঝালকাঠি জেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে লাখ টাকায় বিক্রি হয় জাল ও ভূয়া ওয়ারিশ সনদ।এইসব সনদপত্র মোটা অংকের বিনিময়ে কিনে নিতো জালিয়াতি চক্র।এরপর বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি হজমের কাজে লিপ্ত হতেন মেম্বরসহ ভূমিদস্যুরা।

দৈনিক আলোকিত সংবাদ ডেস্কে নথিপত্র ও অভিযোগের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এল এসব তথ্য।

অভিযোগে বলা হয়,১ নং বিবাদী নলসিটি উপজেলার ১ নং ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম আব্দুল হক,২নং বিবাদী ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফজলুল হক ৩ নং বিবাদী সাবেক সচিব বশির ৪ নং বিবাদী গ্রাম পুলিশ আয়নাল হক, ৫ নং বিবাদী ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও আওয়ামিলীগ নেতা আনোয়র সহ ৬ নং বিবাদী বর্তমান সচিব জাকির হোসেন একসাথে সজ্ঞানে পরিকল্পিতভাবে একাধিক জাল,ভূয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করেন।উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১,২,৫ নং বিবাদী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ।

তারা তাদের জনপ্রতিনিধি হওয়ার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের বিনিময়ে এই জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করেন।ইতিপূর্বে তারা এরকম বহু সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে তৈরি করেছেন যা তদন্তে প্রমাণ মিলবে।উক্ত বিবাদীরা ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলায় প্রতাপ নামক স্থানের প্রায় দেড় একর মূল্যবান জমি অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করতে এই জাল সার্টিফিকেট তৈরি ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে, আদালতে পেশ করে জালিয়াতি চক্র।

চলতি বছর আদালতে এই বিবাদীদের ও কথিত ওয়ারিশদের একটি মামলা সূত্র হতে সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পর নথিপত্র সন্দেহজনক হওয়ায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে দৈনিক নাগরিক. কম।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে নথিপত্র ও রেজিস্ট্রার খোঁজ করি এবং বর্তমান সচিব কে সংশ্লিষ্ট ওয়ারিশ সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য ওয়ারিশদের আবেদন, রেজিস্ট্রার ও সংযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে ও তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সরবরাহ করতে বললে তিনি জানান, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের কোন কপি,নথি,রেজিস্ট্রার, আবেদনের ফটোকপি, কোন ধরণের সংযুক্ত ছবি,মৃতের সার্টিফিকেট অথবা কোন এনআইডির কোন কপিই পরিষদে নাই।

এর কারন জানিয়ে তিনি বলেন যে,উক্ত সংকল রেজিস্ট্রার নথিপত্র যদি থাকতো তাহলে সাবেক সচিব সাহেব জমা দিত আমাকে চার্জ বুঝিয়ে দেওয়ার সময়।এরপর আমি তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আপিল আবেদন করি জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর।এরমাঝে বর্তমান সচিব জাকির হোসেন ও সাবেক সচিব বশির আহমেদ দুইজনই সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানান এই সব সার্টিফিকেট চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে সাবেক সরকারের আমলে রাতের আধারে দেওয়া হত।কোন ধরণের যাচাইবাছাই,আবেদন গ্রহন,তদন্ত, রেজিস্ট্রার ছাড়াই অবৈধভাবে দুর্নীতি করে এসব যাকে তাকে দিয়ে দেওয়া ছিল তার কাজ।আমাদের কাছে কেন ধরণের নথিপত্র নাই।

এদিকে,২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি অভিযোগ করেন একজন ভুক্তভোগী আবুল কাসেম নামের।ওই অভিযোগেও প্রায় একই জালিয়াতির তথ্য রয়েছে। অথচ,দীর্ঘদিন পার হলেও কোন তদন্ত হয়নি সে অভিযোগের।এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মনে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ বলে জানান ভুক্তভোগী বারেক হাওলাদার।