• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ডাকুয়া কারাগারে

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ২২:০৭ অপরাহ্ণ
বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ডাকুয়া কারাগারে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম ডাকুয়াকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এরআগে গত ৭ নভেম্বর রাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাসান সিকদার বাদি হয়ে মো: সাইফুল ইসলাম ডাকুয়াসহ আওয়ামী লীগ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দুই শতাধিক নেতা কর্মীর নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোখলেছুর রহমান, পৌর যুবলীগ সভাপতি ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুজন চন্দ্র দেবনাথ, ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ সেলিম, উপজেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ একাধিক নেতাকর্মীরা কারাবরণ করে জামিনে বের হয়েছেন কিছুদিন আগে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিএনপির সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে গত ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গারুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। ওইদিন বিকেল ৫টার সময় বিএনপির ২৫০-৩০০ জন নেতা-কর্মী গারুড়িয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাড়ির সামনে জড়ো হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়ার নেতৃত্বে উল্লেখিত আসামিরাসহ ১৫০-২০০ জন আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো দা, রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকারীরা বেপরোয়াভাবে রাস্তায় চলাচলরত ইজিবাইক, অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল অটোরিকশা ভাংচুর এবং কয়েকটি দোকান ভাঙচুরসহ এলাকায় ত্রাস সৃস্টি করে ধ্বংসাত্মক ও নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। এসময় তারা বিএনপির ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম এবং নগদ টাকা ও মোবাইলসহ ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাসান সিকদার বাদি হয়ে গত ৭ নভেম্বর রাতে নামধারী ৯০ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এখনো অনেক আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে আহত এবং এলাকায় নাশকতামূলক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে হাসান সিকদার নামের একজন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। আজ তিনি আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।