শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং এলামনাইরাও আজ সামনে থেকে বিক্ষোভ সমাবেশে ও টোটাল শাটডাউন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষিকা নাইমা ফেরদৌসী বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়টা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদের পিতার সমতুল্য। আমরা কোনো সৎ পিতার অধীনে কাজ করতে চাই না।’
খাদ্যবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষক জনাব মোর্শেদ বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের মধ্য থেকে যোগ্য একজনকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দিতে হবে। এই এক দফা দাবি শুধু এখনকার জন্য নয় সিভাসুর ক্ষেত্রে আজীবন বহাল থাকবে।’
ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষক ডা. রিদুয়ান পাশা বলেন, ‘আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্ভাবিত পিবিএল, ইন্টার্নিশিপ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, সেইখানে এই গুণীজনদের বাদ দিয়ে বাইরে থেকে সৎ পিতাকে আমাদের জন্য নিয়োগ দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।’
শিক্ষার্থীরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ, ৩ অক্টোবর ক্লাস পরীক্ষা বয়কট ও অবস্থান কর্মসূচি, ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল, ৫ অক্টোবর রোড ব্লক, ৬ অক্টোবর টোটাল শাটডাউন ও ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দল নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।