অনলাইন ডেস্ক ::: ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে শরীফ আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে মধ্যরাতে দুর্বৃত্ত পাঠিয়ে হামলা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শরীফ আহম্মেদ।
রোববার (২৯ জুন) দিনগত মধ্যরাতে শরীফ আহম্মেদের আরাপপুরের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে হামলার ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানা দলবল নিয়ে ওই ভবন মালিকের বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হন। এসময় ঠিকাদার শরীফ নিচে নেমে এলে তাকে গালিগালাজ করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তাকে মারতে উদ্যত হন সোহেল রানা। এ সময় সোহেলের সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি শরীফ আহম্মেদকে ঘুসি মারেন।
ভবনের মালিক শরীফ আহম্মেদ সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ফোনে জানান, আরাপপুরে তার চারতলা বাড়ি প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা চুক্তিতে ভাড়া নেন সোহেল রানা। ওই ভবনের চারটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে তিনি ক্লিনিক পরিচালনা করছেন। কিন্তু গত সাত মাস ধরে তিনি কোনো ভাড়া দিচ্ছেন না। ভাড়া বাবদ তার কাছে ১৪ লাখ টাকা পাওনা হওয়ায় বকেয়া টাকা চান শরীফ আহম্মেদ। এর জেরে রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানা তার বাড়িতে হামলা চালান।
অভিযোগ করে শরীফ আহম্মেদ আরও বলেন, সোহলে রানা ক্লিনিক হিসেবে তার ভবন ভাড়া নিয়ে আওয়ামী লীগের শাসনামলের ১৬ বছরে নানা অপকর্ম করেছেন। ওইসব অপকর্ম করতে নিষেধ করায় তাকে এর আগেও অন্তত ১০ বার লাঞ্ছিত করেন সোহেল রানা।
এ বিষয়ে রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানা বলেন, ‘তার কাছে আমি কেন চাঁদা দাবি করবো? তিনিই তো প্রতিদিন চাঁদা নিতে আসেন এবং স্টাফদের গায়ে হাত দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে ১৭ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন শরীফ আহম্মেদ। ধারের টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তিনি করেছেন, তার কোনো ভিত্তি নেই।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শরীফ আহম্মেদ নামের এক ব্যক্তি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ভিডিও ফুটেজ যাচাই ও তদন্ত করে ব্যবস্থা
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৫৮