নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম তিমিরকাঠি। এই গ্রামেরই এক মাটির ঘরে ২০০০ সালের ৭ জুলাই জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশু আরিফুর রহমান আজ এক অদম্য যুব নেতা।
তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্রতা, ক্ষুধা ও অসমতার আঁধার ঘুচিয়ে সমাজ বদলে দেয়ার এক আলোকবর্তিকা।
ছোটবেলা থেকেই তার হৃদয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করার এক গভীর ইচ্ছা ছিল আরিফুরের। আর সেই সুতীব্র ইচ্ছাই তাকে নিয়ে এসেছে ইয়ুথনেট গ্লোবালের মতো আন্তর্জাতিক যুব সংগঠনের নেতৃত্বে। আজ এই সংগঠনটি ৫০ টি জেলা ও ১১টি দেশে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যেখানে যুব উন্নয়ন, সবুজ দক্ষতা এবং যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার অসাধারণ অবদান রয়েছে। তিনি একসময় কাজ করেছেন বাংলাদেশ যুব রেডক্রিসেন্টের বরিশাল সদর উপজেলার দলনেতা হিসেবেও।
যুব ক্ষমতায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে আরিফুর রহমান শুভ’র পথচলা শুরু হয় কিশোর বয়সে। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন। সেই সময়েই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার হৃদয়ে ছিল মানবতার প্রতি এক গভীর ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসার থেকেই তার সামাজিক কাজের শুরু। কিন্তু ২০০৭ সালের সিডর দুর্যোগই ছিল তার জীবনে এক বড় ধাক্কা, যা তাকে ভাবতে বাধ্য করেছিল প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে।
সিডরের তীব্র আঘাত তার জীবনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল সে সময় ঘরবাড়ি হারানোর কষ্ট, পরিবার-পরিজনের দুর্দশা এবং সমাজের মানুষের অসহায়ত্ব তার মনে গভীর রেখাপাত করে। এই দুর্যোগের মধ্য দিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন, জলবায়ু পরিবর্তন শুধু একটি বৈজ্ঞানিক সমস্যা নয়, এটি একটি মানবিক সংকট। ওই সময়েই তিনি সংকল্প করেন, যে জীবনের লক্ষ্য হবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করা।
এমনকি, সেই প্রথম ধাক্কাই তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণা এবং সচেতনতা সৃষ্টির পথে পরিচালিত করে। শুভ মনে করেন, “আমার লক্ষ্য সবসময়ই ছিল যুবসমাজকে সক্রিয় করা, যাতে তারা পরিবেশ ও সমাজের জন্য কাজ করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, আর এর মোকাবিলায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তার এই ভাবনা আজ তার নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবালকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে, যেখানে তরুণরা শুধু নিজেদের ভবিষ্যত নয়, সমগ্র পৃথিবীর ভবিষ্যত গড়তে উদ্যোগী হচ্ছে।
একটি সমাজ ও জাতির উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ামক হচ্ছে যুব উন্নয়ন। যুবসমাজকে সঠিক দিকনির্দেশনা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সুযোগ প্রদান করলে তারা নিজের এবং সমাজের সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়। এটি শুধু অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নয়, সামাজিক স্থিতিশীলতা, নেতৃত্বের বিকাশ এবং নতুন চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবন আনতেও সহায়ক। যুবরা যদি কর্মসংস্থান এবং দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ পায়, তা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আরও, পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা তাদের মাধ্যমে সম্ভব, যা সমাজের সার্বিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যুব উন্নয়ন দেশের আগামী প্রজন্মের সঠিক নেতৃত্ব এবং সামগ্রিক উন্নতির জন্য অপরিহার্য।
আরিফুর রহমান শুভ’র নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবাল শুধু জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছে না, বরং তরুণদের মধ্যে সবুজ দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী পরিবেশবান্ধব কৃষি, সৌরবিদ্যুৎ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠেছে। তার কাজের পরিসর সীমিত না রেখে, তিনি তরুণদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো ব্যাপক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন।
পরিবেশ সুরক্ষায়ও শুভ’র অবদান অনন্য। বায়ু, পানি, শব্দ, সিসা, প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে তার প্রচেষ্টা তাকে যুব পরিবেশবিদদের মধ্যে বিশেষ সম্মান দিয়েছে। তার নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবাল বিভিন্ন সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, যা সারা দেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ গ্রহণে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেছে। পাশাপাশি, জেন্ডার সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে তার কাজও প্রশংসনীয়, যা সমাজে পরিবর্তন আনতে তরুণ সমাজের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ফেনী, সিলেট, কুড়িগ্রামের বন্যা, সাইক্লোন আমফান, রেমাল) এবং কোভিড অতিমারীর সময়ে মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে শুভ ও তার সংগঠন দ্রুতভাবে মাঠে নেমেছে। তারা দুর্যোগের কবলে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে। তার নেতৃত্বে তরুণরা মানবিক কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, যে শুধু পরিবেশ নয়, মানবিক সহায়তা ও বিপর্যয়কালীন সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দেশজুড়ে জলবায়ু ও পরিবেশগত সুবিচারের আন্দোলনও, তারই নেতৃত্বে তরুণদের শক্তিকে একত্রিত করেছে। আরিফুর রহমান শুভ, তার কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় নেতৃত্ব ও অটল সংকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, যুব সমাজই হতে পারে সমাজে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে সক্ষম শক্তি। আজকের তরুণ সমাজের কাছে তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং এক অনুপ্রেরণার উৎস, যারা নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে যেতে সাহসী হচ্ছে।
২০১৬ সালে আরিফুর রহমান শুভ প্রতিষ্ঠা করেন ইয়ুথনেট গ্লোবাল, একটি সংগঠন যা আজ ৫০টি জেলার ৬ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘নিরাপদ ধরিত্রী সবুজ অরণ্য, নিশ্চিত করবে দুর্জয় তারুণ্য’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এই সংগঠনটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন, যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য এবং যুব ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুভর নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবাল তরুণদের একত্রিত করার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সবাই একসাথে একাগ্রভাবে কাজ করছে পরিবেশ এবং সমাজের টেকসই উন্নয়নের জন্য।
২০১৯ সাল থেকে, শুভর নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবাল জলবায়ু ধর্মঘটের আয়োজন শুরু করে, যা বৈশ্বিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে লাখো তরুণ-তরুণী একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। এভাবে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য তরুণ সমাজের মধ্যে এক অভূতপূর্ব সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের অধীনে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ক উদ্যোগ রয়েছে। যুবদের জন্য বিশেষভাবে ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন এবং রেজিলিয়েন্স বিল্ডিংয়ের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালানো হচ্ছে, যাতে তারা টেকসই উন্নয়ন এবং স্থানীয় কমিউনিটিতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কৃষি, সৌরবিদ্যুৎ, এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে, যা সারা দেশের তরুণদের মাঝে পরিবেশগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যকরী উদ্যোগ গড়ে তুলছে।
আরিফুর রহমান শুভ এবং ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর এই উদ্যোগ এবং নেতৃত্ব তরুণ সমাজের মধ্যে একটি নতুন প্রজন্মের সৃষ্টির পথ তৈরি করেছে, যারা পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনের জন্যও কাজ করছে।
মানতা সম্প্রদায়, যাদের জীবন এক অর্থে ‘জলে ভাসা’, বরিশাল নদী অঞ্চলে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।মীরগঞ্জ, লাহারহাট, গলাচিপা, তেঁতুলিয়া, রাংগাবালি, আন্ধার-মানিকসহ এসব নদী অঞ্চলে ২০-৫০টি পরিবারের মানুষ নৌকায় জীবন কাটাচ্ছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। তাদের ঘর-বাড়ি একে অপরের থেকে আলাদা নয়—একটি ছোট নৌকা, যা তাদের জীবন, শৈশব, কৈশোর, যৌবন এবং বার্ধক্য সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে। সেই নৌকাতেই জন্ম, জীবন এবং শেষ হয় তাদের যাত্রা। আর বঞ্চিত সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে।
আরিফুর রহমান শুভ’র নেতৃত্বে ইয়ুথনেট গ্লোবাল মানতা সম্প্রদায়ের জন্য নতুন জীবনধারা ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ তৈরি করেছে। তাদের উদ্যোগে লাহারহাটে মানতা সম্প্রদায়ের ১৭৮টি পরিবারের জন্য কর্মসংস্থান, চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে মানতা সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে, এখনও তাদের মৌলিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আরও কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।
কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে ওঠা একটি নতুন চরকে স্থানীয়রা ‘চর ইয়ুথনেট’ নামে অভিহিত করে। এই চরাঞ্চলে ইয়ুথনেট’র উদ্যোগে বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার দুই শতাধিক চরবাসীকে ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য শুধুমাত্র জরুরি সহায়তা নয়, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়।
বিশেষভাবে, চর ইয়ুথনেট কমিউনিটির মাধ্যমে ৯৫টি পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। এখানকার নারীদের নেতৃত্বদানকারী শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানে সক্ষম হয় এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এই উদ্যোগগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক হচ্ছে, যা তাদের জীবিকা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক অবস্থান উন্নত করছে।
জাতিসংঘ জেনেভা দপ্তরেরে উদ্যোগে ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিট একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণ সমাজকর্মী এবং যুব নেতা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন । পাশাপাশি কীভাবে তারা বিশ্বের উন্নতির জন্য তাদের কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া, সম্মেলনে কর্মশালা, সেমিনার এবং আলোচনার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করা হয়, যাতে তারা বিশ্বব্যাপী তরুণদের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকে। এটি তরুণদের জন্য এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যার মাধ্যমে তারা তাদের নেতৃত্বের দক্ষতা আরও বিকশিত করতে এবং সমাজের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।
২০২৪ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইয়াং অ্যাক্টিভিস্ট সামিটে বিশ্বের সেরা পাঁচটি তরুণ সংগঠনের মধ্যে ইয়ুথনেট গ্লোবালকে জায়গা করে দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। এই সম্মানে সংগঠনটি ২০ হাজারেরও বেশি তরুণকে সবুজ দক্ষতা, আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং জেন্ডার সমতা যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। ইয়ুথনেট গ্লোবাল-এর এই সফলতার মাধ্যমে তাদের যুব নেতৃত্ব ও সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত প্রভাব ফেলবে।
এছাড়া, শুভ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সম্মেলন, কর্মশালা ও আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি যুব ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বক্তব্য রেখেছেন এবং তার অভিজ্ঞতা ও কর্মধারা তুলে ধরেছেন।
২০২৪ সালের ছাত্র ও যুব নেতৃত্বে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আরিফুর রহমান ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় লড়াই করেছেন রাজপথে। সহযোদ্ধা ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণের মৃত্যুর মধ্যেও শুভ থেমে যাননি। বরং আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন। তার এই অদম্য নেতৃত্ব এবং সাহসিকতা আজকের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক অমূল্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শুভ’র নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংগ্রাম ছিল না, এটি ছিল সমাজের প্রতি অঙ্গীকার এবং পরিবর্তনের জন্য একটি প্রজ্ঞামূলক আহ্বান। শুভ বিশ্বাস করেন যে, যুব সমাজই সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে পারে, এবং তার কর্মকাণ্ড সেই বিশ্বাসের প্রতিফলন।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, “আরিফুর রহমান শুভ শুধুমাত্র একজন অনুপ্রেরণাদায়ী যুব নেতা নন; তিনি এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পরিবর্তনের রূপকার। জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক ন্যায়ের জন্য যুবদের একত্রিত করে তার নেতৃত্বে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা আমাদের যুব সমাজের সম্ভাবনাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
তার অবিচলিত প্রতিশ্রুতি আমাদের দেখিয়েছে, যুবরাই প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।”
আরিফুর রহমান শুভ’র সংগ্রামী জীবন এবং তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আজকের যুব সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেরণা যোগায়। তার কর্মস্পৃহা ও নেতৃত্বের উদাহরণ নতুন প্রজন্মকে সমাজ পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দেয়। তার সংগ্রাম এবং সাফল্যের গল্প আমাদের শেখায়, সমাজ পরিবর্তনে সাহসী উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা এবং সেই সাহস সকলের মধ্যেই রয়েছে, শুধু তা জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৫০