বরিশালে সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা
আলোকিত সংবাদ ডেস্ক :: বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু ও তার বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ জামাল হোসেন নোমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ৯ নং ওয়ার্ডের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যানারে কাটপট্টি নিবাসী সমীর সাহার সভাপতিত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ৯ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষে সাথী দাস, শাহে আলম, সত্য কর্মকার, তরুণ কর্মকারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
সাবেক যুবদল নেতা ও কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির লিংকু বলেন, এলাকাবাসীর চাপের মুখে আমি কাউন্সিলর নির্বাচন করে নির্বাচিত হই। নির্বাচনের পূর্ব থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত এলাকারবাসীর উন্নয়ন এবং নিরাপত্তায় কাজ করেছি। কিন্তু একটি পক্ষ আমাকে আওয়ামীলীগ বানাতে মরিয়া। অথচ আমার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বড় দুই ভাই বিএনপি ও যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকেই আমি এ দলের সাথে জড়িয়ে আছি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামীলীগের মেয়র, প্যানেল মেয়র এবং কাউন্সিলরদের সাথে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমাকে যেতে হয়েছে।
অথচ আমার প্রতিপক্ষ ওই সময়ের ছবি ব্যবহার করে আমাকে আওয়ামীলীগ বানাতে মরিয়া। আমি বলতে চাই দীর্ঘ ১৬ বছর শারীরিক মানসিক নির্যাতন সহ্য করে দলটির সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমি বিশ্বাস করি দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের ক্ষমা করে দলে ফিরিয়ে নেবেন।
এ বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিপক্ষরা নানা ষড়যন্ত্রে মেতেছে। বাস্তবতা আর ষড়যন্ত্র এক নয়। বাস্তবতা বলে দেবে বিগত দিনে কাটপট্টির সৈয়দ পরিবার কোন দলের সাথে জড়িত ছিল। তা বরিশালের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভালো জানেন বলে জানান লিংকু।
লিংকু বলেন, সর্বশেষ ৫ আগস্টের পূর্বে আওয়ামীলীগের হামলায় তার বড় ভাই রুবেল আহত হন। ওই সময় তিনি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের সাথে বিক্ষোভে যোগদেন। ওই সময় আহ্বায়ক মনিরুজ্জান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়াকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামন খান ফারুক বলেন, নিষেধ সত্ত্বেও লিংকু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তাকে মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। যে কোন মুহুর্তে দল তাদের আবার ফিরিয়ে নিতে পারে। আর লিংকুর বড় ভাই রুবেল যুবদল নেতা এবং আরেক ভাই নোমান সেও মহানগর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি ও সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সাবেক মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, যার কোন শত্রু নেই সে কেমন সামাজিক জীব। কাজ করলে শত্রু সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে লিংকুর বড় ভাই নোমান তার সাথে রাজনীতি করতেন। এমনকি লিংকুসহ তাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছে। এখানে কে কি বললো তাতে কান না দেয়ার জন্য বলেন সরোয়ার।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৭৭