আলোকিত সংবাদ ডেস্ক :: বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনকে আদালত প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকাও নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটেছে।

কাউন্সিলরের দাবি পুরো ঘটনাই বিএনপির লোকজন ঘটিয়েছে। তবে মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। সেই মামলার কাগজ আদালতে জমা হয়েছে কিনা সেটি জানতে আদালতে যাই। আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।’
হামলাকারীরা বিএনপির লোক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু মারধরই করেনি, আমার সঙ্গে থাকা নগদ ৭২ হাজার টাকা ও মানিব্যাগসহ আরও কিছু টাকা নিয়ে গেছে।

আদালতে মানুষ যায় ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার জন্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওপর হামলার পর শুনেছি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার সাচিব রাজিবের ওপরও নাকি হামলা হয়েছে। তবে সে আমার সঙ্গে যায়নি, আমি আমার কাজে গিয়েছিলাম, সে কেন গিয়েছে তা সে ভাল জানে।
এসময় কোর্ট বাউন্ডারিতে থাকা উচ্ছাস জনতা, তাকে মারধরের থেকে উদ্ধার করে বরিশাল আইনজীবী সমিতির পিছিন থেকে বের করে দেয়।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। মারধরের ঘটনাটা ওয়ার্ডের বাসীন্দারা শুনে ট্র্যাক যোগে কোর্ট বাউন্ডারিতে হামলাকারীদের খোজাখুজি করে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বরিশাল ৫ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমকে রোববার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাকে সোমবার বরিশাল আদালতে সোপর্দ করার খবরে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন তার অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তখন কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার সাচিব রাজিবকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি মারধর করা হয়।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৮৬