নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে ভেদুরিয়া ও লাহারহাট ঘাটে ফেরি পারাপারে যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কম টাকার রশিদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেরির ইনচার্জ ও ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
যশোর থেকে খুলনা অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সহজ যোগাযোগের জন্য এই রুট ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা। এ মৌসুমে নাটোর, রাজশাহী থেকে আসছে ট্রাক। পদ্মা সেতু হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাড়ি আসেন নানা পেশার মানুষ। বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত ভাড়ার তালিকার চেয়ে গাড়ি প্রতি বেশি দিতে হয় ৫শ’ টাকা।
অনিয়মের প্রতিবাদ করলে ফেরিতে ওঠতে দেওয়া হয় না। ঘাটে আটকে রাখার অভিযোগও রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ওই ঘাটে এমন নৈরাজ্যের তথ্য তুলে ধরেন ট্রাক চালক খবির উদ্দিন, শহিদউল্লাহ, সুমন উদ্দিনসহ কমপক্ষে ১০/১২ জন চালক। ভোলা থেকে বরিশালে আসা ট্রাকচালক জানান, ভেদুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারে বেশি টাকা দিতে হয়েছে। ভেদুরিয়া ঘাটে ১৩শ’ টাকার রশিদ দেওয়া হয়। অথচ ফেরির টিকিট কাউন্টারে স্টাফরা টাকা নেন ১৮শ’ ৪০ টাকা। আবার ফেরির সিরিয়ালের জন্য দিতে হয় আরও টাকা। বাড়তি টাকা দিতে অস্বীকার করায় ফেরিঘাটে আটকে রাখা হয় ট্রাকচালককে।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে ঘাট সুপারভাইজার।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে দায়িত্বে থাকা সহকারী ব্যবস্থাপক মো. তানভির হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছে এই চক্রটি। তবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ছাত্রদের উপস্থিতি টের পেয়ে সাদু সাজে তারা।
লাহারহাট ও ভেদুরিয়া ফেরিঘাট স্টেশন ইনচার্জ মোঃ সিহাব উদ্দিন বলেন, এই ঘাটে বিগত দিনে কি হইছে এটা বড় বিষয় না। কিন্তু বর্তমানে কোনো ঘাটে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৫৩