নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সম্প্রতি ইসকনের ধর্মীয় গুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারের পর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে পরিস্থিতি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ইসকন আসলে কেমন সংগঠন এবং তাদের কাজ কী?
ইসকন মূলত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কার্যক্রম পরিচালনার একটি সংগঠন। ইসকনের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মন্দির নির্মাণ, ধর্মীয় উপদেশ দেয়া, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রচার, ভক্তি কার্যক্রম এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা। মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার অংশ হিসেবে যোগব্যায়াম ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম করে থাকে সংগঠনটি।
ভারতে ব্যাপকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও ইসকনের জন্ম ভারতে নয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে গঠিত হয় ইসকন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণা রবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। তবে তিনি ভারতে কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে বিদ্যালাভ করেননি, তিনি লেখাপড়া করেছেন খ্রিস্টানদের চার্চে।
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় আইনজীবী হত্যার প্রেক্ষাপটে তিনটি মামলা হয়েছে। ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ছয়জনকে শনাক্ত করা গেছে, যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। হাইকোর্টে আজ (বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। একপর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, তারা শুনে আশ্বস্ত হয়েছেন যে, সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। কর্তৃপক্ষের তৎপরতা যেন জারি থাকে।
এর আগে আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বুধবার লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
এদিন ‘ইসকন’ কি ধরনের সংগঠন, এই সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, কারা এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে এ তথ্য আদালতে জানাতে বলা হয়।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১২১