- আলোকিত সংবাদ ডেস্ক ::বরিশাল রুপাতলি দক্ষিণবঙ্গের একটি প্রাণ কেন্দ্রীয় জায়গা। এখানে নিম্ন শ্রেণীর মানুষসহ প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ। বরিশাল শহরে আসলে কে না চায় একটু ভালো হোটেলে খেতে। কিন্ত রুপাতলী গোল চত্বরের উত্তর পাশে হয়েছে ৩ টি মোটামুটি ভালো মানের হোটেল। পুরনো দুটি খাবার হোটেল রয়েছে ভোজন বিলাস ও খাবার বাড়ি। তারই পাশে গড়ে উঠেছে একটি নতুন হোটেল হুমাহুম। ভিতরে ডেকারেশন অন্য রকমের থাকায় মানুষ মনে করে সব দিক মিলিয়ে মনে হয় খাবারের মান সহো অনেকটাই ভালো হবে টাকাও সাশ্রয় হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ও ফ্যামিলি সহ যখনই হুমাহুমে খেতে আসেন তখনই কাটা হচ্ছে সাধারণ মানুষের গলাকাটা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ খাবারের মান তেমন একটা ভালো না এবং প্রত্যেকটি খাবার আইটেমে টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। খাবারের তালিকা টানানো থাকলেও তার সাথে মিল নেই টাকার। এক ভুক্তভোগী বলেন আমি ১ পিচ ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি মাছের দাম ধরা হয়েছে ৩৮০ টাকা একটু কমাতে বললে ২০ টাকা কমিয়ে ৩৬০ টাকা ধরা হ’য়েছে। হোটেল ম্যানেজারের সাথে কথা কাটাকাটি হলে। অভিযোগ পেয়ে সংবাদকর্মীরা হোটেলে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বলা হয়। বাজার অনুযায়ী দাম ধরা হয়েছে। কিন্তু রুপাতলি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায় ১ থেকে দেড় কেজি ইলিশ মাছের দাম মাত্র ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মধ্যে। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ইলিশ মাছের দাম অনেক বেশি থাকলেও। অন্তবর্তী সরকারের বর্তমান সময়ে ইলিশ মাছের দাম কিন্তু সেই তুলনায় অনেক কম। তখন তাদের মেনু চার্ট দেখাতে বললে দেখানো হয়নি দেয়ালে ঝুলানো চার্টে দেখা যায় খাবার অনুযায়ী চার্টের সাথে রয়েছে গড় মিল। আরো দেখা যায় ইলিশ মাছ ও ইলিশ মাছের ডিম কোড়াল মাছ আইড় মাছ এর দাম চার্টে লেখা নেই। ভুক্তভোগীরা বলেন বরিশালের অন্যান্য হোটেলের চাইতে হুমা হুম হোটেলে খাবারের দাম ডাবল রাখা হয়। সাধারণ মানুষ না জেনে খেয়ে বিল দিয়ে চলে যাচ্ছে একবার যারা খায় তারা কখনোই আর আসে না। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে দক্ষিণবঙ্গের দূরদূরান্তের সাধারণ মানুষ। বরিশালে আইন অনুযায়ী সিটি এলাকায় রেস্তোরাঁ চালাতে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে বাণিজ্যিক নিবন্ধন। কিন্ত নিবন্ধন ছাড়াই নগরজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে একের পর এক হোটেল এবং রেস্তোরাঁ। যেসব প্রতিষ্ঠান মালিকদের অনেকেই জানেন না হোটেল বা রেস্তোরাঁ চলাতে নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা। সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে ৫৮ বর্গ কিলোমিটারের এই নগরীতে নিবন্ধনভুক্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে ৫৫৫ টি। তবে বেসরকারি হিসেবে সেই সংখ্যা হাজারের ওপর। বৈধ এবং অবৈধ রেস্তোরাঁগুলোর বেশি ভাগই নেই বাণিজ্যিক লাইসেন্স, অগ্নি নিরাপত্তা এবং বাহির হওয়ার বিকল্প পথ। যার মধ্যে নগরীতে রয়েছে নানান দেশী-বিদেশী খাবার পরিবেশনকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা এ শঙ্কা ক্রমশ জটিল হলেও বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ হচ্ছে না জেলা প্রশাসন বা নগর কর্তৃপক্ষের।
যদিও রেস্তোরাঁগুলোতে চিরুনি অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন, ও সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায় হোটেল এবং রেস্তোরাঁ চালু করতে নিতে হয় সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স, স্যানেটারি লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং ফায়ার সার্ভিসের সনদ। এসব প্রস্তুতির পর সনদ পেতে আবেদন করতে হবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। কিন্তু লাইসেন্স পেতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে বেশিরভাগ হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক নিচ্ছেন না রেস্তোরাঁর নিবন্ধন। তবে বৈধ হোটেল রেস্তোরাঁর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাধারণ শাখা থেকে। এ বিষয়ে তথ্য দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, তাদের অধীনস্থ ৩০টি ওয়ার্ডে মোট ৫৫৫টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় দুইশর মতো রয়েছে চাইনিজ মানের রেস্তোরাঁ। এর বাইরে নিবন্ধন এবং ট্রেড লাইসেন্স বিহীন হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা হাজারের ওপর বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। ব্যবসায়ী সংগঠনের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রায় সময় জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে। তবে তারা নিবন্ধনের বিষয়টিতে কখনোই গুরুত্ব দেননি। পরিবেশ এবং খাবারের মানের ওপরেই তদারকি করছেন। ফলে নিবন্ধনের বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা দক্ষিণবঙ্গের দূর দূরান্ত থেকে বরিশালে আসা সাধারণ মানুষের একটাই দাবি এই ধরনের মানহীন গলাকাটা পকেট কাটা হোটেল বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।
হুমাহুম রেস্তোরাঁ ম্যানেজার আমান হোসেন বলেন. আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের কোনো খাবার পরিবেশন করা হয় না, আপনাদের ভুল তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সাময়িক হেনস্তা করার চেষ্টা করছে একটি চক্র।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১০১