আলোকিত সংবাদ ডেস্ক ::: নগরীর চরকাউয়া খেয়াঘাট এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্টিমারঘাট জামে মসজিদে বহিরাগত কোনো লোক সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না। মহানগর বিএনপি।
স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, ষ্টিমারঘাট জামে মসজিদে বিতর্কিতদের নিয়ে সহায় সম্পদ লুট করতে কোনো মিটিং আলোচনা ছাড়াই মসজিদের অমুসুল্লীদের নিয়ে স্ব ষোষিত কমিটি ঘোষনা করা হলো । এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, মুসুল্লীদের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা বলেন,মসজিদ ফান্ডের নগদ ৪৩ লাখ টাকা ও ২০ টি স্টল ভাড়া দিয়ে ৭০ লাখ, ১১৯টি স্টলের মাসিক ভাড়া আড়াই লাখ টাকাসহ মসজিদের নগদ অর্থ প্রায় ৩০ কোটির টাকার সম্পদের দিকে নজর স্ব-ঘোষিত কমিটির।
মসজিদটি দখল হয়ে যাচ্ছে স্ব ঘোষিত কমিটির কাছে মসজিদের নগদ অর্থ ও সহায় সম্পদ বাচাঁতে মুসুল্লী,ব্যবসায়ীরা, প্রশাসন ও বরিশাল মহানগর বিএনপি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন তোতা বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বেশ কয়েকটি পত্রিকা ও সোসাল মিডিয়ায় ‘বরিশাল স্টীমারঘাট জামে মসজিদের কমিটি গঠন’ শিরোনামে একটি কুচক্র মহল স্টীমারঘাট জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির বানোয়াট ও ভিত্তিহীন খবর প্রচার করে, যা খুবই দুঃখজনক।
আমি এই কমিটির বিষয় কিছু জানি না, তবে একটি কুচক্র মহল এই কমিটিতে আমার অনুমতি ছাড়া নাম দিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় কমিটি গঠনের সংবাদ প্রকাশ করেন। আমি বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনে পরবর্তীতে যাচাই বাঁচাই করে ঐ কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বর্তমান কমিটির সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
এবিষয় বরিশাল মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডস্থ স্টিমারঘাট ঘাট জামে মসজিদ এটা অনেক পুরান মসজিদ। এখানে আগে যে ইমাম ছিলেন সে অনেক আল্লাহ ওয়ালা লোক, এখন তার অনেক বয়স হয়েছে সে রিটায়ার্ড করছে।
কিন্তু কিছুদিন ধরে মহানগর বিএনপির কাছে স্টিমারঘাট জামে মসজিদ সম্বন্ধে স্থানীয় মুসল্লী ও সাবেক কমিটিতে যারা আছেন তারা অভিযোগ করেছে। যে বহিরাগত লোকজন এসে মসজিদের সভাপতি হতে চায়। তিনি বলেন, মহানগর বিএনপি এবিষয় কোনো হস্তক্ষেপ করে না।
তারপরও যদি কেউ আমাদের কাছে এসে যদি চায় মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে যারা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা কমিটি হবে তাদের আল্লাহ ওয়ালা ও মুসল্লী হতে হবে। যার কোনো সাইটে খারাপ কিছু বা সমালোচনা নেই সে সভাপতি বা সম্পাদক হতে পারবে।
আর এলাকার যারা আছে ১০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি সাহাদাত হোসেন তোতা,কামরুজ্জামান, দুলাল বা ১১ নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবির, এদের দায়িত্বটাই বেশী।
আমরা এদেরকে বলেছি তোমরা আল্লাহর ঘর মসজিদে কোনো অনিয়ম দুর্নীতি না হয়। আর বহিরাগত কোন লোকজন এসে সভাপতি হবে,সে কতটুকু পারফেক্ট মানুষ এটা তোমরা দেখবে।
কিন্তু দেখার পড়ে যদি তোমরা না পারো, তাহলে মহানগর বিএনপিকে ডাকলে আমরা এসে মুসল্লীদের ডেকে সাবেক কমিটি ও স্থানীয় মুসল্লিদের সাথে পরামর্শ করে আল্লাহ ওয়ালা মানুষ ও মসজিদের খেদমত করবে এধরণের লোকজনকে মনোনীত করলে তাকে কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক করবেন। কিন্তু এখানে যেনে খারাপ দুষ্ট লোক না ডুকতে পারে সেটা আমরা মহানগর বিএনপির সদস্যরা খেয়াল রাখবো।
মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরীন জানান, বরিশালে যতগুলো মসজিদ আছে সব মহানগর আওতাধীন। কিন্তু এগুলো মহানগর বিএনপি হস্তক্ষেপ করে নায়। মুসল্লিরা যাকে পছন্দ করে মনোনীত করবে তারা মসজিদের কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদক হবে।
এখানে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ নাই। তবে যদি কেউ অগণতন্ত্রীক ভাবে জোর করে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হতে পারবে না। এতে যদি মহানগর বিএনপির কাছে মুসল্লিরা অভিযোগ দেয়,তাহলে তাদের পাশে মহানগর বিএনপি থাকবেন।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জিয়াউদ্দিন সিকদার (জিয়া) বলেন, মহানগরের ভিতরে শত শত আল্লাহর ঘর মসজিদ। মসজিদের ভিতরে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে আলাপ করতে চাই না, এটা আল্লাহর ঘর,আমরা যাই তাকওয়া করার জন্য। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক ইসু করতে চাই না বা ধর্ম প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাই না। এটা আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে।
তবে যদি মসজিদের কমিটি করার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সেটা হলো মসজিদে যারা রীতিমতো মুসল্লী তাদের তরফ থেকে যাকে সর্বাধিক পছন্দ করেন। যে আল্লার ঘরে খেদমত করতে পারবে, এধরণের যে-কোনো লোককে যদি মুসল্লিরা মসজিদের কমিটি গঠন করতে পারবে। কিন্তু মহানগর বিএনপি কাউকে মসজিদ কমিটির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সমার্থন করে না। স্থানীয় মুসল্লিরা যেটা চাইবে সেটার পাশে মহানগর বিএনপি আছে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ২৯৮