এখন চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম, এ সময় নদীর অভয়াশ্রমে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ৷ তাই জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার স্বার্থে নদী ও সাগরে এই সময়ে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়৷
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে জেল জরিমানার বিধানও রয়েছে। তবে বাউফল উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চল্লিশ কিলোমিটার এলাজার চিত্র ভিন্ন। দিনের আলোয় প্রকাশ্যেই অবাধে মা ইলিশ শিকার করছেন অসাধু জেলেরা।
প্রতিদিন তাদের জালে ধরা দিচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ৷ সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতেই চায় না অসাধু জেলেরা৷বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে ইলিশ ধরার ফলে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। যারফলে সারাবছর বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ পাওয়া যায় না। যখন থাকে বেশি চাহিদার কারণে দামও বেড়ে যায়।
১৩ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারির দিন থেকে ২০ অক্টোবর তেঁতুলিয়া নদীতে সরেজমিন দেখা যায়, নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধশত নৌকা নিয়ে অসাধু জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করছে। তাদের জালে ওঠা অধিকাংশই মা ইলিশ। প্রতিদিন বিভিন্ন সময় নদীতে ঘুরলেও সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের কারোর দেখা হয়নি।
মৎস বিভাগের অভিযানের তথ্যানুযায়ী- গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত সাত দিনে এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক কুমার কুন্ডু তিনটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন এবং উপজেলা মৎস অফিসের ১৮টি অভিযানে সহযোগিতা করেছেন। অভিযানে ১৯টি মামলা করা হয়েছে এবং ১৯ জেলে গ্রেফতার হয়েছে ৷
এসময় ০.৯২ ম্যাট্রিক টন ইলিশ, ৩ হাজার ৪্শ ৬৫ মিটার জাল ও চারটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে৷ নদীর অভয়ারণ্য মা ইলিশের জন্য সুরক্ষিত রাখতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার।
তিনি বলেন, চেষ্টাতো করি কিন্তু! দেখি কি করা যায় আর। বুঝতেছি না। তিনি আরো বলেন, ট্রলার লাগে মূলত ৬ টা। তাহলে হয়তো অসাধু জেলেদের দমিয়ে রাখা যায়।
এ বিষয়ে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, অভিযান সফল করা লক্ষ্যে একজন ট্যাগ অফিসার ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও জানানা তিনি। প্রসঙ্গত,প্রতিবছর এসময় তেঁতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১০৭