• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দ্বন্দ্ব শুরু গণ অভ্যুত্থানের মালিকানা নিয়ে

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১৬:১২ অপরাহ্ণ
দ্বন্দ্ব শুরু গণ অভ্যুত্থানের মালিকানা নিয়ে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: গণ অভ্যুত্থানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই-আগস্টের গণ অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির আহত ছাত্র-জনতার উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই-আগস্টে গণ অভ্যুত্থানে আহত এবং নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক নাজমুল হাসান প্রমুখ। সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ইতোমধ্যে গণ অভ্যুত্থানের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।

গণ অভ্যুত্থানের মালিক কে, কোন দলের কতজন মারা গেছেন, কোন দলের কি কন্ট্রিবিউশন, সেই প্রতিযোগিতা লেগেছে। যদিও এটা কোনোভাবে কাম্য নয়। কারণ এটা কোনো রাজনৈতিক দলীয় আন্দোলন ছিল না। এটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটা গণআন্দোলন ছিল। এই গণ অভ্যুত্থানে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। কাজেই এখানে কাউকে জামায়াত শিবির, বিএনপি, গণঅধিকার হিসেবে চিহ্নিত করা, ইতিহাসের সামনের দিকে এটা ভালো কিছু হবে না। তিনি বলেন, এখনো কেউ টের পাচ্ছেন না।

কেউ দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত, আবার কেউ ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছেন। অথচ যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করলাম, সেই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে কোনো দলের আওয়াজ নেই। বরং সবাই তাদেরকে রাজনৈতিক স্পেস দিতে চায়। আগামী নির্বাচনে সুযোগ দিতে চায়। নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপির বিকল্প যদি শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল গড়ে না ওঠে, আবারও আওয়ামী লীগের আসার সুযোগ থাকবে। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ভারত হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করবে। কাজেই, আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

আওয়ামী লীগকে এদেশে মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, দেশকে ভালো রাখতে হলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে। আমাদের নিজের ভালোর জন্য এ সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার ছোট ছোট কিছু জায়গায় তাৎক্ষণিক কিছু ভূমিকা নেবে। ত্বরিত অ্যাকশন নেবে। সেটি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।