• ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবাদ প্রকাশে মিডিয়া ম্যানেজ করতে শায়েস্তাবাদের হিমু’র দৌড়ঝাঁপ শুরু (!)

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১৯:০৫ অপরাহ্ণ
সংবাদ প্রকাশে মিডিয়া ম্যানেজ করতে শায়েস্তাবাদের হিমু’র দৌড়ঝাঁপ শুরু  (!)
সংবাদটি শেয়ার করুন....

সংবাদ প্রকাশে মিডিয়া ম্যানেজ করতে শায়েস্তাবাদের হিমু’র দৌড়ঝাঁপ শুরু (!)

আলোকিত সংবাদ ডেস্ক:: বরিশালের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক আলোকিত সংবাদ, দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকাসহ একাধিক পত্রিকায়,শায়েস্তাবাদের চাঁদাবাজ খ্যাত হিমু’র রাজত্ব সব আমলেই: বিএনপির সিনিয়র নেতাদের খোপ প্রকাশ।

শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পড়ে মিডিয়া অঙ্গে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক পরিচয় দানকারী হিমু। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ছাপিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৈনিক আলোকিত সংবাদ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পড়ে জেলা ও মহানগর সিনিয়র নেতারা হিমুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, একথা শুনে হিমু দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে,।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকার পতনের সাথে সাথে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বিএনপি’র যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক পরিচয়দানকারী হিমুর দখলদারী ও চাঁদাবাজিতে শীর্ষস্থান অর্জন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের বাজার কমিটির সভাপতি টিপু আকনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় ও মনিরের খেয়াঘাট, স্পিডবোট ঘাট,সায়েস্তাবাদ বাজার, দখল করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে।

স্থানীয়রা জানান, এ,কে, এম, শাখাওয়াত হোসেন হিমু হাওলাদার, মালেক চৌকিদারের স্টলের ভিতরের বসে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছে,এসময় তার সাথে ছিলো সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছাত্র লীগ পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো রাকিব।

তিনি আরও বলেন,স্বৈরাচার সরকার আমলে মুন্না চেয়ারম্যান ও মামুন তালুকদারের সাথে বিভিন্ন আ’ লীগের প্রোগ্রাম করে হিমু, সে’সময় আ লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে মারধর করাসহ বিভিন্ন ধরনের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে থাকেন।

বর্তমানে হিমু বিএনপির নেতা ও তার চাচা সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শামীম হাওলাদারের পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে এলাকায়।
হিমুর আতংকে সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র নেতারা কথা বলতে ভয় করছেন।

তিনি ছাত্র লীগের নেতা রাকিব নামে একটি ছেলে নিয়া হিমু হাওলাদার চাঁদা বাজি করেন। ২০১৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় না থাকায় হিমু বিদেশ চলে যান।

কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে (৫আগষ্ট) স্বৈরাচার সরকার পতনের পর বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে সায়েস্তাবাদ, বাজার থেকে চাঁদা, খেয়াঘাট থেকে চাঁদা, স্পিডবোর্ড থেকে চাঁদা তুলেন
শায়েস্তাবাদ বাজার কমিটি সভাপতি টিপু আকন বলেন আমার এখন দল

অভিযুক্ত এ,কে,এম সাখাওয়াত হোসেন হিমু বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের একটি কুচক্র মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি,আমি এলাকায় স্পিডবোট ঘাট, খেয়াঘাট দখল বা কোনো চাঁদাবাজি করি নাই। এলাকায় আমাদের একটা প্রভাব আছে, সেটাকেই ভিন্নখ্যাতে নিতে একটি চক্র এধরণের তথ্য দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করেন।

বরিশাল জেলা বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন বলেন,এধরণের কথা আমি শুনি নাই, তবে আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ আছে, যদি কেউ আ লীগের সাথে জড়িত থেকে বিএনপির পরিচয় দিয়ে থাকে বা হাট বাজার,খেয়াঘাট, দখল ও চাঁদাবাজি করার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের দল থেকে বহিষ্কার ও আইনে আওতায় আনতে হবে।

বরিশাল শায়েস্তাবাদ বিএনপির সদস্য সচিব কবির হোসেন মাঝি বলেন, আমার জানামতে হিমু’র জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কোনে পদ নাই, সে বিএনপির পরিচয় দিয়ে কিভাবে চাঁদাবাজি করে তা আমি জানি না। কিন্তু সে আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন, আমি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির পরিচয় দিয়ে যদি হিমু কোনো চাঁদাবাজি, দখল দায়িত্ব করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতারা চাঁদাবাজির বিষয়টি শুনে খোপ প্রকাশ করেন এবং হিমুর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলার আশ্বাস দেয়।

এবিষয়ে থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক, জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে হিমু নামে এক যুবক বিএনপির পরিচয় দিয়ে হাট,মাট,ঘাট, বাজারে চাঁদাবাজি করার কথা শোনা গেছে। তবে এখন পযন্ত কেউ অভিযোগ করেনি, যদি এধরণের কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাউনিয়া থানার নবগত ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই, যদি এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।