নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ::: কীর্তনখোলা নদীর তীর বেষ্টিত বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন। সরকার পতনের পর পর এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চুরির উপদ্রপ বেড়ে গেছে। রাত হলেই চোর আতঙ্কে থাকে স্থানীয়রা।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নয়য়ানী গ্রামের হাওলাদার বাড়ির শাহআলম হওলাদারের ঘরের মালালামাল চুরি হয়। চাকুরী সুবাদে শাহআলম তার ফ্যামিলি সহ অন্যত্র থাকে। বিল্ডিং ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায়ই থাকে। ঘরে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোর চক্র ঘরের পিছনের রান্নাঘরের মাচা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে সকল মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
পরের দিন বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘর মালিক শাহআলমকে অবহিত করে। ঘর মালিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে তার ঘরের সকল মালামাল চুরি হয়ে গেছে।পরবর্তীতে ঘর মালিক শাহআলমের ছেলে সাজ্জাদ আলম অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করনে।
মালামাল চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগকারী সাজ্জাদ আলম জানায়, স্থানীয় লোকের সন্দেহে ও থানা পুলিশের সহযোগিতা কালু, রাহাত,রাব্বি ও ফরহাদের ঘর থেকে চুরি হওয়া অধিকাংশ মালামাল উদ্ধার করা হয়।
চুরি হওয়া ঘর মালিকের ভাই আবুল হোসেন বলেন আমরা পুরো ফ্যামিলি সহ শহরে থাকি, পুরো ঘর ফাকা থাকে। চুরির খবর শুনে শুক্রবার এসে আমরা এলাকার মুরুব্বিদের জানাই এবং থানায় অভিযোগ করি। এলাবাসীর সন্দেহ ও থানা পুলিশের সহযোগিতা কালু ও অন্যান্যদের ঘর থেকে চুরি মালামাল উদ্ধার করি।
স্থানীয় সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ বারেক হাওলাদার বলেন, এই বাড়িতে চুরি হইছে, কালুগো বাড়িতে গিয়ে দেখি সেই বাড়িতে মালামাল, পুলিশ আর এলাকার লোকজন মালামাল নিয়ে আসছে আমি সাথে ছিলাম। তিনি আরও বলেন চোরের আতঙ্কে এখন ঘুমাইতে ভয় করে। আমার চাই এই চোরদের যেন উপযুক্ত বিচার হয়।
চোর চক্রের হোতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কালু বলেন, শাহআলমের বাড়ি থেকে চুরিকৃত মালামাল আমার বসতবাড়ি থেকে থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করেছে। আমার ছেলে রাহাত এই চুরির ঘটনার সাথে জড়িত বলে তিনি স্বীকার করেন।
বন্দর থানা পুলিশের এস আই অতন্যু বলেন গত ৮ সেপ্টেম্বর বরিবার বিকেলে স্থানীয়দের সন্দেহ ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়য়ানী গ্রামের ভাঙারি ব্যাবসায়ী কালুর ছেলে রাহাতের বসত ঘর থেকে পিতলের কলসি, ফ্যান, হাড়িপাতিল উদ্ধার করি। এসময় গোপন সংবাদে আরো জানতে পারি অন্য দুই বাসায় আরো মালামাল রয়েছে। সে মোতাবেক পুলিশ ও স্থানীয় জনতাদের সাথে নিয়ে খলিলের ছেলে রাব্বি ও হানিফ মুন্সির ছেলে ফরহাদের ঘর থেকে চুরি হওয়া অধিকাংশ মালামাল উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় চুরির সাথে জরিত কালু, রাহাত,রাব্বি ও ফরহাদ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার মিস্ত্রি জানায়, আমরা একটা অভিযোগ পাই, এসআই অতন্যু গিয়ে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করে। বাদী পক্ষ এজাহার দিলে মামলাটি রেকর্ড হবে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৯৯