• ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দিগঞ্জে ১৬ বছরের নিপীড়নে নিষ্পেষিত নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি-নুরু রহমান 

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ২০:৪৮ অপরাহ্ণ
মেহেন্দিগঞ্জে ১৬ বছরের নিপীড়নে নিষ্পেষিত নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি-নুরু রহমান 
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মেহেন্দিগঞ্জে ১৬ বছরের নিপীড়নে নিষ্পেষিত নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি-নুরু রহমান! 

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরু রহমান জাহাঙ্গীর নিজ জন্মভূমি মেহেন্দিগঞ্জে আসছেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে উলানিয়া লঞ্চঘাটে নামলে তাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে লঞ্চঘাটে অপেক্ষায় থাকেন বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও অনুসারীরা। পরে নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে মিছিলসহকারে উলানিয়া বন্দরের দক্ষিণ বাজারের অগ্রণী ব্যাংক এর সামনে পথসভা করেন। সভায় তিনি বলেন বিগত ১৬ বছরের নিপীড়নে নিষ্পেষিত নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছি, এই অঞ্চল নিয়ে আমিও স্বপ্ন দেখি এবং গর্ব করি। যেখানে থাকবে না কোনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্ণীতি, অবিচার, বৈষম্য।

যেখানে মানুষের একতা ও দেশপ্রেম হবে উন্নয়নের হাতিয়ার। সে স্বপ্ন নিয়ে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে বিএনপির সমর্থিত ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হয়ে মেহেন্দিগঞ্জে এসেছিলাম, সে সময় আমার প্রচার প্রচারনায় গণমানুষের ব্যপক সাড়া পড়ে। যা দেখে ঈর্ষাণীত হয়ে পতিত সরকারের মনোনীত প্রার্থী পংকজ নাথ এর নির্দেশে ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তার পোশাকি সন্ত্রাসীরা আমাকেসহ আমার কর্মী সমর্থকদের উপর বর্বোরিচিত হামলা চালায়, হামলায় আমি গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই।

সে-সুযোগে ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যায় পংকজ নাথ। সেসময় আপনারা মুখিয়ে ছিলেন আমাকে নির্বাচিত করতে। কিন্তু আপনারা পারেন নি, তবে আল্লাহ যদি কবুল করে তাহলে আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। সেদিন আমাদের মেহেন্দিগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিএনপির প্রবীণ রাজনীতিবিদ আদর্শ মানুষ প্রয়াত আফসার হোসেন আলম ভাইর বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর করেছিলো হামলাকারীরা। আমি ঘটনার বিচার আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন আর আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন আপনাদের আশা এবং স্বপ্ন পূরন করতে পারি। আমি এই এলাকার মাটি ও মানুষের সন্তান, তাই এমন একটি অঞ্চল চাই যেখানে অস্ত্র কি তা কেউ বুঝবে না। শিক্ষাই হবে একমাত্র হাতিয়ার। এমন একটি উপজেলা চাই যেখানে থাকবে না কোনো সামাজিক বৈষম্য। তরুণ প্রজন্ম শিক্ষা ও দক্ষতার মাধ্যমে উন্মোচিত করবে সম্ভাবনার দ্বার। নদী বেষ্টিত বাংলাদেশের মানচিত্রে দৃশ্যমান একটি উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ। আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ শাসনে, শোষণে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখানে বিনা ভোটের সাংসদ পংকজ নাথ সন্ত্রাসী স্বর্গ রাজ্য কায়েম করেছে, লুটপাট অনিয়ম ও দুর্ণীতি করেছে, শান্তি প্রিয় এলাকায় ১০-১৫ জনকে খুন করেছে। এখানে যেন আর হানাহানি মারামারি না হয় সে জন্য সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। যারা এসব করবে তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শের কেউ নন। আমি শুনেছি নতুন স্বাধীনতার পরে এখানে কেউ কেউ চাঁদাবাজি, দখলবাঁজি ও লুটপাট করেছে। যারা এসব করেছে তারা দলের কেউ না।

বিগত সরকারের সাথে লিয়াজু করে যারা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তারা এখন বিএনপির বদনাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এদের প্রতি আমি ঘৃণা জানাই।

দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি কিংবা দখল বানিজ্য করলে দল কাউকে ছাড়বে না। কারণ বিএনপি হলো আদর্শ আর গণমানুষের দল। গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চরের জমি প্রকৃত মালিকদের মাঝে ফিরিয়ে দিতে এবং ভালো মানুষ দিয়ে উলানিয়া বাজার কমিটি করার তাগিদ দেন। মেহেন্দিগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন উপজেলা হিসাবে গড়ে উঠবে এবং এখানকার প্রতিটি মানুষ প্রাণভরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে।