নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল ::: গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশাল এর আইন বিভাগের প্রধানের বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা রশিদ নাহিয়ানদের বিরুদ্ধে গত (১ নভেম্বর) ইউনিভার্সিটির ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর জমা দেন।

পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটির ভিসি অভিযোগ গ্রহন করে তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করেন। কমিটির আদেশে বলা হয় যে চার কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য।
তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা শুনে রশিদ নাহিয়ানরা তদন্ত কমিটিকে বাধা গ্রস্থ করার জন্য তার নিজস্ব অবৈধ সুযোগ দিয়ে তৈরি করা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দিয়ে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার তপন কুমার বল এর অফিস রুমে অভিযোগ কারীদের কে রশিদ নাহিয়ান ডেকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা ও মাইনুল,ফাহিমসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করেন।
সে সময় বিভ্রান্তির মুখে পড়ে এক পর্যায়ে ট্রেজারার তপর কুমার বল নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য রুম থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার পরে রশিদ নাহিয়ানরা নিজেদের মতো করে একটি প্রক্টোরিয়াল কমিটি তৈরি করে এবং রেজিস্টারকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে উল্টো অভিযোগকারী ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির ব্যবস্থা করান।
বিষয়টি শুনে ভিসি সহ সকলে ক্ষুদ্ধ হন। পরবর্তীতে রশিদ নাহিয়ানদের পালিত ছাত্রদের দিয়ে আন্দোলন করিয়ে অভিযোগকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করেন। অবৈধ শাস্তির অফিস আদেশ পেয়ে ইউনিভার্সিটির ভিতরেই একজন অভিযোগকারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ভার্সিটির আইন বিভাগের সিনিয়র ছাএ ফাহিম মুনতাসির গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তৎক্ষণিক তাকে শেরে -ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন ইউনিট ২ তে ভর্তি করেন অভিযোগকারী ছাত্ররা।
পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রেফার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সি সি ইউনিটিতে পাঠান।ভর্তি থাকা রেজিঃনং- ৮৫৫০৪/২৮৯ গত(৪ ডিসেম্বর) ইউনিভার্সিটি আইন বিভাগের শিক্ষক রশিদ নাহিয়ান, মনজুরুল হাসান নাফি এই শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী আইনগতভাবে সিদ্ধ নয় এমনকি তারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষক হওয়ার অযোগ্য, একজন শিক্ষক হতে হলে এস,এসসি এবং এইচ,,এস,সিতে ন্যূনতম জিপিএ -৯ পয়েন্ট থাকতে হয় এবং অনার্স মাস্টার্স সহ ন্যূনতম( ৩.৫০+৩.৫০)=৭পয়েন্ট থাকতে হবে।
সে ক্ষেত্রে রশিদ নাহিয়ানের অনার্স এর জিপিএ ২.৮৫এবং মাস্টার্সে-৩ মোট জিপিএ ৫.৮৫ পয়েন্ট, মনজুরুল হাসান নাফি একই শোচনীয় অবস্থা। এসব শিক্ষক রশিদ নাহিয়ানদের উস্কানিতে কিছু উশৃঙ্খল ছাত্র-ছাত্রী কতৃক অবৈধভাবে চাপ প্রয়োগ করে ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ডঃ আনিসুজ্জামানকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পদত্যাগ করাতে বাধ্য করানো হয়,পদত্যাগের সময় ভিসি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
৫ই আগস্টের পরে ছাএ ছাএীদের দিয়ে ভিসি কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাপের মুখে ফেলে শিক্ষক রশিদ নাহিয়ান ও মনজুরুল হাসান নাফি অবৈধভাবে বেতন বাড়িয়ে নিয়েছেন,অথচ তারা ছিল শুধুমাত্র চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক। ইউনিভার্সিটি আই বিভাগের শিক্ষক রশিদ নাহিয়ানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের গায়ে হাত ইভটিজিং সহ ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে ।রশিদ নাহিয়ান ও মনজুরুল হাসান নাফি তাদের তৈরি করার ছাত্র-ছাত্রী বাহিনী দিয়ে ভার্সিটির লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট করার পাশাপাশি গ্রুপিং তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ইউনিভার্সিটি বিমুখ করন এবংসিনিয়র ম্যানেজমেন্টেরকে জিম্মি করে তারা ভাসিটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে,
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা রশিদ নাহিয়ান ও মনজুরুল হাসান নাফিকে বারবার এগুলো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলেও তারা কোন কিছুতেই মানছেন না।এই দুর্নীতি থেকে ইউনিভার্সিটির সাধারন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক,ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ম্যানেজমেন্টসহ সকলে মুক্তি চাচ্ছেন।
বিষয়টি জানা’র জন্য গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশাল এর আইন বিভাগের প্রধান রশিদ নাহিয়ানের মুঠোফোনে কল দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
এবিষয় গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বরিশাল এর ট্রেজারার তপন কুমার বল তিনি বলেন,আমার অফিসের মধ্যে ছাত্ররা মারধরের ঘটনা ঘটায় । তাদের উশৃংখল অবস্থা দেখে আমি রুম থেকে বের হয়ে যাই এবং ফাহিম মুনতাসীরকে অস্থায়ী বহিস্কার করায় ফাহিম আদেশ নোটিশ হাতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন। এবং আইন বিভাগের প্রধান রশিদ নাহিয়ানদের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের নিয়োগের বিষয় মঞ্জুরি কমিশন অফিসে অবগত করা হয় নাই। পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত অফিসিয়াল কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে। আমি বিএম কলেজে চাকরিরত ছিলাম বলে কিছু তথ্য দিলাম তবে ইউনিভার্সিটির সকল বিষয় রেজিস্ট্রার বলতে পারবেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৪৭৬