• ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে মালয়েশিয়া প্রবাসীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০২৪, ১৪:২৪ অপরাহ্ণ
যশোরে মালয়েশিয়া প্রবাসীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বেনাপোল প্রতিনিধি:: যশোরর শার্শা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আসানুর রহমানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও টাকা না দেওয়ায় অপহরণ করে সাদাস্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আসানুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলী অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াছিন আলীর দুই ছেলে ইউনুস আলী ও মারোয়ান, আজিবার রহমানের ছেলে বাশিউর রহমান বাশি, বাশিউর রহমানের জামাই আব্দুর রহমান, হারেজ মোড়লের ছেলে মোস্তফা, মোস্তফার ছেলে হাবিবুর রহমান, কিতাব আলীর ছেলে আব্দুল আলিম,আব্দুল আলিমের ছেলে নুর হোসেন, রামপুর গ্রামের দাউদ গোলদারের দু’ছেলে লাল্টু হোসেন এবং মিন্টু হোসেন।

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতেন। দেশে এসে নিজ এলাকায় ব্যবসা শুরু করেন। তার এই ব্যবসার দিকে নজর পড়ে আসামিদের। ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে অন্যথায় নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। এরমধ্যে গত ১৯ অক্টোবর বাদী শার্শা বাজার মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা চাঁদার টাকা দাবি করে। না দেয়ায় মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার পালসার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। ওই রাতেই আসানুর থানায় অভিযোগ দিয়ে বের হলে তাকে অপহরণ করে রামপুর বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিবারকে খবর দেওয়া হলে আসানুরের স্ত্রী শারমীন, ভাই হাসানুরসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যান। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তিনটি ১০০ টাকার ননজুডিসিয়াল অলিখিত স্ট্যাম্পে আসানুর ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

আরও উল্লেখ আছে, একই সাথে আসানুরের কাছে থাকা নগদ ৪১ হাজার টাকা ও পালসার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। ওইসময় চাঁদার টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে হুমকি দেন আসামিরা। অন্যথায় হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এসব কারণে বাদী বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।’