নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেচ্ছাসেবক দলের এক যুগ্ম আহ্বায়ক জানান- তাজুল ইসলামের বাড়ি বাড়ৈয়ারা গ্রামে এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাড়ি একই গ্রামে। সূচনা লগ্ন থেকে তিনি তার বংশের লোকজনকে বিএনপির সনদ দিয়ে আসছেন এবং তার নিজ গ্রামের হওয়ার কারণে তাজুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান বানাতে সহায়তা করেন। ইউনিয়ন সভাপতি ৫ আগস্টের আগে ইউনিয়নে তৎপর না থাকলেও এর পরবর্তী সময়ে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। একদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন সাবেক জেলার নেতার পরামর্শে ইউনিয়নের বিভিন্ন লিস্ট করছেন এবং একজন ফর্মার মাধ্যমে ডিল করছেন।
এর সত্যতা বিচারে ছাত্রদলের একজনসহ সভাপতি বলেন, একাধিক সময় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সরদারের বাসা থেকে রাত্রিকালীন মিটিং শেষ করতে এবং জাহাঙ্গীর সরদারকে মোটরসাইকেলের পিছনে নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে বিএনপি সভাপতিকে। তাজুল ইসলামকে প্যানেল চেয়ারম্যান করায় তার সুপারিশ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করি।
যুবদলের এক নেতা জানান- এতো রক্তের উপরে দাঁড়িয়ে যদি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হয় তবে প্রতিটি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হবে। অবশ্যই প্রশাসনের এই ব্যাপারে সজাগ থাকা উচিত। সেই সাথে আমরা ইউনিয়ন বিএনপির সংস্কার দাবি জানাই। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়ে যায় যা আমাদের সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।