নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের অভিজাত আবাসিক হোটেল রোদেলা থেকে টিকটকার মাহিয়া মাহিকে এক পুরুষ সঙ্গীসহ আটক করেছিলেন কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ।
ঘটনার পর থেকেই শহরজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। খবরটি বেশ চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত এক টার সময়।
আটক যুবক ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্র লীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ জিহাদকে (দশ লাখ) টাকা কাবিনে বিয়ে করে মামলা থেকে রক্ষা পায় মাহিয়া মাহি।
এ ঘটনার পরে বেশকিছু দিন আত্মগোপনে ছিলেন ঝালকাঠি জেলার মেয়ে বিতর্কিত অশ্লীল ভিডিও ধারণকারী টিকটকার মাহিয়া মাহি ও তার গ্রুপ।
তবে আত্মগোপন থেকেও চালিয়েছেন অশ্লীল কার্যকালাপ। সেখান থেকেও মাহিয়া মাহির ৮ সদস্যকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ। তবে এদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি থানা পুলিশ বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (১৯ সেপ্টেম্বর)ভোর রাত ৪:৩০ মিনিট সময় জিয়া সড়ক এলাকার ২২ নং ওয়ার্ড আ'লীগের সাধারন সম্পাদক এর বাসার নিচ তলা থেকে ৮ জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন,পিরোজপুর উপজেলার ভান্ডারিয়া থানাধীন এলাকার বাসিন্দা জালাল হাওলাদারের ছেলে রুবেল হোসেন (১৯), বাকেরগঞ্জ থানাধীন শোভাকাঠী'র বাসিন্দা ইদ্রিস খলিফার মেয়ে টিকটকার ইশরাত জাহান (ইতু), বৃষ্টি আক্তার(১৯) পিতা শাহাদাৎ হোসেন, তারিন(২০) পিতা শহিদুল ইসলাম,সাইমুন আহম্মেদ (১৯) পিতা শামীম হাওলাদার,মানিক (২০) পিতা মৃত্যু সোহরাব বিশ্বাস, মোঃ রাব্বি মোল্লা (২৫) পিতা জসিম মোল্লা, সাং রুপাতলী, ও জেডিআর (JDR) Dance group এর পরিচালক মোঃ রাজিব হাওলাদার (২৮) পিতা মৃত্যু বশির হাওলাদার।
বিতর্কিত টিকটকার মাহিয়া মাহি মুসলিম ধর্মের মেয়ে হয়ে হিন্দু (সনাতন) ধর্মের বেশে মাথায় সিঁদুর দিয়ে সেজে ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নেটিজেনদের মধ্যে ধর্মকে ব্যঙ্গ করার আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। নেটিজেনরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মিন হা'রুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, বরিশালের বাহির থেকে শহরে এসে এই টিকটকার মাহিয়া মাহি গ্রুপ প্রভাবশালী-ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে তাদের সাথে মিশে কৌশলে নগরের নামিয় আবাসিক হোটেল আটকিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে যায় ।
এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ও ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করে । এমনকি বরিশাল থেকে মোটাঅংকের টাকার বিনিময়ে কুয়াকাটায় গিয়ে রাত্রিযাপন করে বলে অভিযোগ উঠেছে । বরিশালের সনামধন্য আবাসিক হোটেলে আসা লোকজন সুইমিংপুলে (গোসল) করার ভিডিও ধারণ করায় মাহিয়া মাহিকে হোটেলে উঠতে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষ এবং কিছুদিন আগে একটি বিউটি পার্লার এর চেয়ারে বসে অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঐ ভিডিওতে পার্লারে কর্মরত এক মেয়ে পাশ থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় ক্যামেরা বন্দী হয়। ভিডিওটি পার্লারে মেয়ের স্বামী দেখলে তাদের সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে।
তবে বিতর্কীত টিকটকার মাহিয়া মাহিকে পুলিশ (প্রশাসনিক) কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকরা শেল্টার দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মাহিয়া মাহি ও তার সহযোগীদের থানায় আনার খবরে সংবাদকর্মী ছুটে যান হোটেল রোদেলার সামনে। কিন্তু তাদের ক্যামেরা দেখে রীতিমতো চোখের সামনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাহি ও তার সঙ্গীসহ হোটেল রোদেলা'র ভাড়াটিয়া মালিক মানিকের দ্বিতীয় স্ত্রী। কেউ কেউ হাত থেকে ক্যামেরা কেড়ে নিতে যান এবং সংবাদকর্মীকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেন।
টিকটকে নানা বিতর্কিত কনটেন্ট তৈরি করে ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন মাহিয়া মাহি। অশ্লীল ও বিতর্কিত ভিডিওর কারণে একাধিকবার নেটিজেনদের রোষানলে পড়ে নিজ গ্রাম ঝালকাঠি জেলা ছেড়ে বরিশালে এসেছে মাহি। হোটেল কাণ্ডে শুরু হলো তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়।সেই ঝড় শেষ না হতেই মাহি গ্রুপের ৮ সদস্যকে আটক করে জেল হাজতে পাঠান পুলিশ। তবে এখানেই শেষ করেনি মাহি ও তার গ্রুপের সদস্যরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে মাহির বিরুদ্ধে।
এছাড়াও বরিশাল জেলা প্রশাসককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ভাষায় পোস্ট করেন বিতর্কিত এই টিকটকার মাহিয়া মাহি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে নেটিজেনরা জেলা প্রশাসকের পক্ষে কমেন্ট করলে তাৎক্ষণিক পোস্ট ডিলেট করে রক্ষা পায় মাহি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ রিপন হাওলাদার
ঠিকানা: ইসরাফিল ভিলা (তৃতীয় তলা), ফলপট্টি রোড, বরিশাল ৮২০০।
মোবাইল: 01721-976302 ইমেইল: alokitosangbad8200@gmail.com
© Copyright, All Rights Reserved