কুমিল্লা প্রতিনিধি ::: কুমিল্লার লাকসামে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শ্বশুরকে হত্যার দায়ে তাসলিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা উপজেলার আশকামতা গ্রামের মো. বিলাল হোসেনের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. বেলাল হোসেন ভূঁইয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তাসলিমা আক্তারের স্বামী মো. বিলাল হোসেন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। এ সুযোগে তাসলিমা একাধিক পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে শ্বশুর মো. চান মিয়া প্রতিবাদ করলে তাসলিমা ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৪ সালের ১১ জুলাই গভীর রাতে ঘুমন্ত শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। পরে গোসল করে চান মিয়ার মেয়ে বেবি আক্তারকে হত্যার কথা জানান। পরদিন নিহতের মেয়ে বেবিকে সঙ্গে নিয়ে লাকসাম থানায় আত্মসমর্পণ করেন তাসলিমা আক্তার। এ ঘটনায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাসলিমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ৬৯