• ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিসির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল নিয়ে গড়িমসি!

"আলোকিত সংবাদ ডেস্ক"
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ১৮:৫৭ অপরাহ্ণ
বিসিসির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল নিয়ে গড়িমসি!
সংবাদটি শেয়ার করুন....

 

 

বিসিসির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল নিয়ে গড়িমসি!
* চলছে কানাঘুসা, চাপা ক্ষোভ বিরাজ
* দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন

আলোকিত সংবাদ ডেস্ক :: চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল নিয়ে গড়িমসি করছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। সদ্য বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত নোটের কারনে সৃষ্টি হয়েছে এই জটিলতা। কোন প্রকার নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়া নিয়োগ পাওয়া এ সব কর্মকর্তাদের নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বিসিসিতে। বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, সাবেক মেয়রদের আমলে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছিল বরিশাল সিটি করপোরেশন। তার উপরে গত বছর ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ টাউন প্লানার এবং আর্কিটেক্টস পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় (স্মারক নং- বিসিসি/ প্রঃচুঃনিঃনথি-১৭/২৩-৭৮)। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় এই দুই পদের অনুকুলে ৫শ টাকার ব্যাংক ড্রাফট প্রদান পূর্বক আবেদন করতে হবে। বিজ্ঞপ্তির পর শত শত বেকার যুবকদের আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু কোন নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই মেধার মূল্যায়ন না করে বির্তকিতভাবে টাউন প্লানার পদে তাবাসসুম ইসলাম এবং আর্কিটেক্ট পদে সাইফুল ইসলাম লুশানকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিন মাস মেয়াদী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ গত এপ্রিল মাসে পূর্ন হওয়ার পরে পুনরায় আবারও (টাউন প্লানার পদে) তার মেয়াদ ৩ মাস বৃদ্ধি করে জুলাই পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাদ দেয়া হয় নি বরং বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধভাবে রহস্যজনক কারনে নিজ ক্ষমতাবলে তার চুক্তির মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করে! অন্য দিকে আর্কিটেক্ট পদে সাইফুল ইসলাম লুশানের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩ বছর। যা নিয়ে বিসিসি অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে কানাঘুসা। কথা উঠেছে ফ্রেস ইমেজের সিইও শেষ মূহুর্তে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রভাবিত হয়ে টাউন প্লানার পদে পুরোপুরি অবৈধ প্রক্রিয়ায় সৈয়দা তাবাসসুম ইসলাম এবং আর্কিটেক্ট পদে সাইফুল ইসলাম লুশানের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিয়ে গেছেন। বিসিসির একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত ৪৪ জনের নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে বিসিসি। যার মধ্যে টাউন প্লানার এবং আর্কিটেক্ট পদের ওই দুই জন ছাড়াও রয়েছে বিগত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খাকন সেরনিয়াবাত এর সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সাবেক মেয়রের সহধর্মীনি লূনা আব্দুল্লাহর ব্যাক্তিগত সহকারি দোলন চাপা দে, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফয়সাল আহমেদ, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সাগর হোসেন সহ আরোও অনেকে। যাদের নিয়োগ বাতিল প্রক্রিয়াও শুরু হয়। কিন্তু বরিশাল সিটি করপোরেশনের বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের প্রকৌশলিদের চাপের কারনে এই বাতিল প্রক্রিয়া এখন হুমকির মুখে। ফলে এখনো আওয়ামীলীগ ঘরানোর কর্মকর্তাদের কারনে বিসিসিকে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে একাধিক সূত্র। এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সচিব মাসুম আক্তার বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের তালিকা করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে টাউন প্লানার এবং আর্কিটেক্ট কোন কথা বলতে রাজি হয় নি।